
ইয়াবা পাচার, বিক্রি ও সেবন উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের ইয়াবা। পান দোকান, মুদির দোকান ও পথিক বেশে ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে অবাধে। উপজেলার মরিচ্যা, উখিয়া সদর কোটবাজার ত্রিরাস্তার মোড়, টিএন্ডটি, বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী ষ্টেশন, উখিয়ার পার্শবর্তী ঘুমধুম, জলপাইতলীর,খিজারী ঘোনা,বেতবুনিয়া,তুমব্রু ছাড়াও রয়েছে পাড়া শীলের ছড়া, ঘিলাতলী, দরগাহবিল , ইনানী, সোনারপাড়াসহ অনেক গ্রামে। ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ততা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাওয়ায় পারিবারিকও সামাজিক সহিংসতাও বেড়ে গেছে।বিরাজ করছে পারিবারিক কলহ ও অস্তিরতা। ঘরে ও বাইরে অস্থির পরিবেশ। উঠতি বয়সি ছেলেদের নিয়ে অভিভাবক মহল উদ্বেগ – উৎকণ্ঠায় রয়েছে। মরণঘাতি এ ইয়াবা সেবনের জের ধরে সহোদর ভাইয়ের মধ্যে সংঘাত, অপহরণ,ছেলের হাতে পিতা-মাতাকে লাঞ্চিত, বিবাহ বিচ্ছেদসহ নানা রকম ঘটনা নিত্য নতুন ঘটছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সামাল দিতে পুলিশ প্রশাসনের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মত পুলিশ প্রশাসনও পঞ্চায়েত বৈঠক বসিয়ে অনেক মামলা নিষ্পত্তি করছেন।পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন সম্প্রতি উখিয়া থানায় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৌদ্ধ ও আলেম সমাজদের নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে, মাদক, চোরাচালান ও ইয়াবার বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেন। ইয়াবা পাচার, বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রদানের নির্দেশ দিলেও কথায় আর কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কালো টাকার জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সব রক্ষী বাহিনী ম্যানেজ করে চলায় প্রশাসনের ভুমিকাও রহস্যজনক বলে সচেতন মহল মনে করছেন।ফলে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ভেস্তে যেতে বসেছে। শুধু ইয়াবা ও মাদক পাচারকারী ব্যবসায়ীদের তালিকা হয়। টাকা উত্তোলন শেষে ঝিমিয়ে পড়ে তালিকা।উপরোন্তু ইয়াবার আগ্রাসন বেড়েই চলছে।টিএন্ডটি এলাকা ঘুরে স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াবা সেবনকারীদের কারণে উখিয়া কলেজের ছাত্রীরা নিরাপদে কলেজে আসা যাওয়া করতে সংকোচ বোধ করছে। এঘটনায় পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন উখিয়া কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করে উত্যক্তকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে সোর্পদ্দ করার নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী সৈয়দ নূরের ছেলে আব্দুস সালাম (২৮) কে ইয়াবাসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ ইলিয়াছ জানান, জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আব্দুস সালাম ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তার নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। উক্ত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ সন্ত্রাসীরা ইলিয়াছের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট করেও ক্ষান্ত হয়নি। ইলিয়াছের স্ত্রী পুত্রকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। বলে ইলিয়াসের স্ত্রী বেবী আকতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এঘটনায় বেবী আকতার বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি এফ.আই.আর হিসেবে রুজু করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, বেবী আকতারের বাড়ীর সহ বেশ কিছু লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা আগ্রাসন দিন -দিন বৃদ্ধি পাওয়া প্রশাসনের কোন বিহীত ব্যবস্থা না থাকাতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও বেপরোয়া। উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ইনচার্জ, চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা উপ -পরিদর্শক মোঃ এরশাদ উল্লাহ জানান,আমি ঘুমধুমে যোগদানের পর বিগত ৫মাসে অন্তত দেড়কোটি টাকার ইয়াবা ,বহনকারী গাড়ী ও ১০ পাচারকারী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আর ইয়াবা সেবনে কারণে বহু পরিবারে পারিবারিক কলহ লেগেই আছে। তৃণমূলের অনেক অভিযোগ থেকে নিশ্চিত হয়েছি। সরকারের উচিৎ আইনের ফাকঁফোকর থেকে যেন ইয়াবা কারবারী ও সেবীরা রেহাই না পায়, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের লেখণী যেন থেমে না যায় অনুরোধ জানান।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।