১৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

উখিয়ায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসলহানির আশংকা

SAMSUNG CAMERA PICTURES
উখিয়ার খাল-বিল, জলাশয়-পুকুর-জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে পানির জন্য হাহাকার। বাসাবাড়ির টিউবওয়েলে পানি না থাকার কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কাঙ্খিত বৃষ্টি না হলে ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল হানির আশংকা করছে কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সময়মতো বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন সম্ভব হবে।
গতকাল সোমবার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদারবিল এলাকাঘুরে দেখা যায়, পানির অভাবে বোরো জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বোরো চাষাবাদে গরু-ছাগল লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক ডা. শাহ আলম, প্রবাসী শামশুল আলম জানান, বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেচ পাম্প স্থাপন করেও কোন কাজ হচ্ছে না। পানি সংকটের কারণে বোরো চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে গরু-ছাগল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এভাবে হরিণমারা, দরগাহপালং, দোছরী, ডেইলপাড়া, গয়ালমারা, করইবনিয়া, রতœাপালং, পাতাবাড়ি, থিমছড়ি, আমতলী, ভালুকিয়া, তুলাতলী, গোয়ালিয়াপালং প্রভৃতি এলাকায় প্রচন্ড খরায় ধান ক্ষেত্র জ্বলে পুড়ে লাল বর্ণ হয়ে যেতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮ শত ৬৭ টি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু পানির স্তর অস্বাভাবিক ভাবে নিচে নেমে যাওয়ার ফলে ওই সেচ যন্ত্রগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির ব্যবহার্য্য নলকূপগুলোতে পানি সংকটের সৃষ্টি য়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কিছু কিছু গভীর নলকূপে পানি থাকলেও মারাত্মক লোডশেডিংয়ের কারণে তারাও নিয়মিত চাষাবাদে চাহিদামত পানি দিতে পারছেনা। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম নুর হোসেন লোডশেডিংয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে রাতের বেলায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, অনাবৃষ্টির ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সময়মতো বৃষ্টি হলে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো চাষাবাদ সংরক্ষণ ও তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।