১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

উখিয়ায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাঠভর্তি জীপ ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ

shomoy
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন রেঞ্জ কার্যালয় থেকে অবৈধ কাঠ ভর্তি জব্দকৃত ১টি চাঁদের গাড়ি ২০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল গভীর রাতে কাঠ পাচারকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের এ অনৈতিক লেনদেনের ঘটনাটি ঘটেছে। উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সদর বিট এলাকার টিএন্ডটি ধইল্যা ঘোনা গ্রামের আবু বক্করের বসত ভিটা থেকে কাঠ চোর সন্ত্রাসীরা জীপ ভর্তি করে ৮টি মাদার ট্রি জাম গাছ রদ্দা সহ পাচারকালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা জব্দ করেন। উক্ত কাঠসহ জীপ গাড়িটি রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলেও রহস্যজনক কারণে রাতে আধারে বন কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাঠ চোরদের সাথে আতাঁত করে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে বন বিভাগের বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে। নামে মাত্র কাঠ চোরদের নিকট থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য অবৈধ প্রায় ৯ শ ঘনফুট কাঠ ছেড়ে দিয়ে মাত্র ৭ টুকরো বা ১৫/২০ ফুট অবৈধ কাঠ জব্দ দেখিয়ে ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে জানতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহীম হোসেনের নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে অসাধু বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের রক্ষার চেষ্টা করেন। ইতি পূর্বেও রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সদর বিট কর্মকর্তার যোগসাজসে বন কার্যালয় থেকে জব্দকৃত অবৈধ স’মিল ও কাঠ বিক্রি করারও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার এসবের নাটের গুরু হলেও উখিয়ার বিশাল বনাঞ্চল কাঠ শুণ্য হয়ে পড়েছে বিট কর্মকর্তার কারণে। স্থানীয় সিকাদার বিল গ্রামের মনজুর আলম মিস্ত্রি বলেন, ইতি পূর্বে বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার ৩টি বক্স খাট, ২টি আলনা ও ১ সেট সোফা বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। চাকুরীর পাশা-পাশি ওই বিট কর্মকর্তা ফানির্চার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহীম হোসেন এ সব ঘটনা অস্বীকার করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।