২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

উখিয়ায় যুবদলের ২শীর্ষ মানবপাচারকারিরা এখনো অধরা

17122014082539-300x164

উখিয়া উপজেলা যুবদলের ২শীর্ষ মানবপাচারকারিরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। জেলা ব্যাপী আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও রাতে পাহাড়ে দিনে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ঘুমিয়েই দিন পার করছে এ শীর্ষ দু’মানবপাচারকারি। যত পুলিশী অভিযান চলুক না কেন বার বারই রয়ে যায় ধরাছোয়ার বাইরে।

জানা গেছে, উখিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম সোহাগ। দুই জনই শীর্ষ মানবপাচারকারি। দীর্ঘ দিন ধরে উখিয়ার রেজুখালের মোহনা, সোনারপাড়া ও পেঁচারদ্বীপসহ একাধিক পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচার করে আসছিল। এ কারনে উখিয়া ও রামু থানায় মামলাও হয়েছে একাধিক। কিন্তু এর অধিকাংশ মামলার চার্জসীট থেকে তাদের নাম বাদ পড়েছে। বাদ পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের তালিকা থেকেও। মানবপাচারের অভিযোগে দুয়েকবার গ্রেপ্তার হলেও দ্রুত জামিনে বেরিয়ে আসে খুব অল্প সময়ে। পুনরায় শুরু করে মানবপাচার ব্যবসা। অবৈধ এসব ব্যবসায় তাদের নাম উঠে যায় কোটিপতিদের তালিকায়। উখিয়া থানার সাবেক ওসি জাহেদুল করিব, অংসা থোয়াই, বর্তমান ওসি জহিরুল ইসলাম ও এসআই আব্দুল হাকিম চলতো তার ইশারায়। ঘুষ নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। যুবদলের নেতা হয়েও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রন করে মুলত তারাই। জালিয়াপালং ইউনিয়নের অধিকাংশ নেতা চলে তাদের কথায়। সম্প্রতি থাইল্যান্ড জঙ্গলে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কৌশলে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু, এতদিন পর কেন তাদের খোঁজছে পুলিশ? স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে হাজারো প্রশ্ন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুবদলের এই দুই নেতা দীর্ঘদিন ধরে সোনাইছড়ি বাদামতলী ঘাট দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার ও টাকা পাচার করে আসছেন নির্ভিগ্নে। উক্ত পাচারকারী ও তার সহযোগীর হাত থেকে রেহায় পাইনি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসায় পড়–য়া ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারন দিন মজুর শ্রেনীর মানুষ। উক্ত পাচারকারী এবং তার সহযোগীরা উখিয়া ও টেকনাফ থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোকজন সংগ্রহ করে উখিয়ার রেজু ঘাটঘর, মনখালী, চেটখালী, রামুর থোয়াইঙ্গা কাটা, পেচারদ্বীপ ঘাট ও টেকনাফের বিভিন্ন সাগর চ্যানেল দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করে আসছিল। পরবর্তীতে পাচার হয়ে যাওয়া লোকজনদের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে আটক রেখে অভিবাবকদের সংবাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে যুবদলের উক্ত দুই নেতা সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচার করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। উক্ত টাকা দিয়ে সে নামে বেনামে ক্রয় করছে অঢেল সম্পদ। এ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচার সহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি যোগদানের পর থেকে একজন যাত্রীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। একের পর এক অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। মামলা হয়েছে অসংখ্য পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। এতে করে উখিয়ায় মানবপাচার অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।