২১ জুন, ২০২৫ | ৭ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২৪ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ

উখিয়ায় বুরো মৌসুমের শুরুতে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিং


উখিয়ায় বুরো মৌসুম শুরু হতে না হতে পল্লী বিদ্যুৎতের ভয়াবহ লোড শেডিংয়ের কবলে পড়েছে উখিয়ার ২ লক্ষ অধিক সাধারণ মানুষ ও কৃষকেরা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০/২০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। চলতি বুরো মৌসুমের শুরুতে বিদ্যুৎ যন্ত্রনায় শিকার হয়ে কৃষক ও সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে হতশা দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা জানান, বছরের শুরুতে এই ধরনের পল্লী বিদ্যুৎতের লোড শেডিং একপ্রকার অসনী সংকেত বলে মনে করছেন তারা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২/৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ আসলেও ২/৩ ঘন্টা পর্যন্ত চলে যায় বিদ্যুৎ বিহীন। বিদ্যুৎতের আসা যাওয়া নিয়মে পরিনত হয়েছে। এ হচ্ছে উখিয়ার পল্লী বিদ্যুতের বছরের শুরুর নমুনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুরো মৌসুমের শুরু থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি খোদ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক বাঁচাতে বিদ্যুৎ সরবারহ পর্যাপ্ত রাখার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম উক্ত নির্দেশ কে অমান্য করে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ লোড শেডিংয়ের নামে পুরো এলাকা অন্ধকারে রেখেছে। শুধু তাই নয় বিদ্যুৎ সরবারহ না থাকায় সেচ পাম্প বন্ধ থাকার কারণে মাঠ জুড়ে শুরু হওয়া বুরো মৌসুমের চাষাবাদের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পানির অভাবে কৃষকেরা জমিতে চেষ দেওয়া বিলম্ভ হচ্ছে।
এদিকে অভিভাবকগণ জানান, আগামী মাসে প্রথম তারিখ থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হবে। বিদ্যুতের যন্ত্রণায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখা পড়ায় মারাতœক ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থী পাঠদান করতেও হিমসিম খাচ্ছে। কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ লোড শেডিংয়ের নামে পুরো ব্যবসা বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। সারাদিন মিলে ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎতের অভাবে ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এমতাবস্থায় লোড শেডিংয়ের মাত্রা কমানো না হলে ব্যবসায়ী মহল অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুৎতের বিরুদ্ধের ব্যাবস্থা নিতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও জনগণকে উত্তেজিত করতে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতৃপক্ষ লোডশেডিং এর নামে তালবাহনা করে যাচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, বছরের শুরুতে পল্লী বিদ্যুৎতের এই অবস্থা হলে কৃষকদের চাষাবাদ নিয়ে শংখ্যা রয়েছে। সরকার কাঙ্কিকৃত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদ ও সরবরাহ করলেও উখিয়ায় বছরের পর পর বছর বিদ্যুতের লোডশেডিং কি কারণে লেগে থাকে তা সাধারণ জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে।
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোসেনকে মঠো ফোনে আলাপ করা হলে তিনি কক্সবাজর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এর সাথে কথা বলেন, বলে ফোন কেটে দেয়। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এর এই নাম্বারে ০১৭৬৯৪০০০২৩ ফোন করে বিদ্যুতের লোডশেডিৎ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি উখিয়া অফিসের ডিজিএম এর কাছে ফোন করেন তিনি জানেন আমি জানিনা বলে ফোন কেটে দেয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।