২১ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৮ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

উখিয়ায় কমছে আবাদী জমির পরিমাণ : গড়ে উঠছে দালানকোঠা


উখিয়া উপজেলার সর্বত্র কমে যাচ্ছে আবাদী জমি ও বনভুমির আয়তন । বর্ধিত জনসংখ্যা আর যান্ত্রিক জীবনের ধারাবাহিকতায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে দালানকোঠা। এতে করে খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলায় আবাদী জমির পরিমাণ ১০৭০১ হেক্টর। তবে সম্প্রতি অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র বসতি স্থাপন, অফিস আদালত ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নানাবিধ কারণে আবাদী জমির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তবে কি পরিমাণ জমি কমে গেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য কৃষি অফিস নেই বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে। এদিকে ভূমিহীন পরিবার গুলোও বন ভূমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। সেইসাথে এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বন ভূমির পাহাড় কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে। এভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ছে বৃহত্তর বন ভূমির আয়তনও। ফলে জীব বৈচিত্র বিলুপ্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে দাবী করেন সচেতন মহল।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমুহের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একর প্রতি উৎপাদিত ফলনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ফলস্বরুপ চাষাবাদে আগ্রহ তাদের কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় হলদিয়াপালংয়ের হাজি জাফর বলেন, রাস্তার ধারে নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করে বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এখন চাষীয় জমিটিতে দালান করে ভাড়াবাসা দিয়ে দেব। চাষাবাদের চেয়ে এটিই এখন লাভজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, যত্রতত্র নির্মাণের ফলে আবাদী জমির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তবে অনাবাদী জমি গুলোকে রাবারড্যাম নির্মাণ সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আওতায় চাষের উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ করে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করতে হবে।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তারা মতামত ব্যক্ত করে বলেন, ইনানী বন রেঞ্জের আওতায় ১৭ হাজার একর সংরক্ষিত বন ভূমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে।
ছাত্র রাজনীতিবিদ নাছির উদ্দিন বলেন, নগরায়নের ফলে সবদিকে দালানকোঠা গড়ে উঠছে। ষ্টেশনের পাশ্ববর্তী জমি গুলোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এইছাড়া রোহিঙ্গা সহ ভুমিহীনরা বনভুমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে বলে মত ব্যক্ত করেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, আবাদী কৃষি জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা করতে দেয়া যাবেনা। খাদ্য ঘাটতির কবল থেকে রক্ষা পেতে কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। এছাড়া বনভুমি রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত জরুরী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।