২৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১২ ভাদ্র, ১৪৩২ | ৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

উখিয়ায় কমছে আবাদী জমির পরিমাণ : গড়ে উঠছে দালানকোঠা


উখিয়া উপজেলার সর্বত্র কমে যাচ্ছে আবাদী জমি ও বনভুমির আয়তন । বর্ধিত জনসংখ্যা আর যান্ত্রিক জীবনের ধারাবাহিকতায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে দালানকোঠা। এতে করে খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলায় আবাদী জমির পরিমাণ ১০৭০১ হেক্টর। তবে সম্প্রতি অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র বসতি স্থাপন, অফিস আদালত ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নানাবিধ কারণে আবাদী জমির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তবে কি পরিমাণ জমি কমে গেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য কৃষি অফিস নেই বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে। এদিকে ভূমিহীন পরিবার গুলোও বন ভূমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। সেইসাথে এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বন ভূমির পাহাড় কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে। এভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ছে বৃহত্তর বন ভূমির আয়তনও। ফলে জীব বৈচিত্র বিলুপ্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে দাবী করেন সচেতন মহল।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমুহের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একর প্রতি উৎপাদিত ফলনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ফলস্বরুপ চাষাবাদে আগ্রহ তাদের কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় হলদিয়াপালংয়ের হাজি জাফর বলেন, রাস্তার ধারে নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করে বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এখন চাষীয় জমিটিতে দালান করে ভাড়াবাসা দিয়ে দেব। চাষাবাদের চেয়ে এটিই এখন লাভজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, যত্রতত্র নির্মাণের ফলে আবাদী জমির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তবে অনাবাদী জমি গুলোকে রাবারড্যাম নির্মাণ সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আওতায় চাষের উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ করে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করতে হবে।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তারা মতামত ব্যক্ত করে বলেন, ইনানী বন রেঞ্জের আওতায় ১৭ হাজার একর সংরক্ষিত বন ভূমিতে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে।
ছাত্র রাজনীতিবিদ নাছির উদ্দিন বলেন, নগরায়নের ফলে সবদিকে দালানকোঠা গড়ে উঠছে। ষ্টেশনের পাশ্ববর্তী জমি গুলোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এইছাড়া রোহিঙ্গা সহ ভুমিহীনরা বনভুমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে বলে মত ব্যক্ত করেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, আবাদী কৃষি জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা করতে দেয়া যাবেনা। খাদ্য ঘাটতির কবল থেকে রক্ষা পেতে কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। এছাড়া বনভুমি রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত জরুরী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।