১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা

উখিয়ায় উৎপাদিত তরমুজের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষক

SAMSUNG CAMERA PICTURES
উখিয়ার হাটবাজারে চড়াদামে তরমুজ বিক্রি করে মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম আর অধিক পুঁজি বিনিয়োগ করে যারা উৎপাদন করেছে সে সব কৃষকেরা তরমুজের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। প্রচন্ড খরায় একদিকে যেমন আকারে তরমুজ ছোট হয়েছে, অন্যদিকে হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদিত তরমুজ জেলার বাইরে যেতে পারেনি। ফলে পানির দরে তরমুজ বিক্রি করে লোকসানের কবলে পড়ে কৃষকেরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপকূলের জালিয়াপালং ইউনিয়নের চোয়াংখালী গ্রামের কৃষক বদিউল আলম(৪৮) হতাশ কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তরমুজ আকারে ছোট হয়েছে। যে কারণে ১ একর তরমুজ ক্ষেতে গত বছরের তুলনায় ৫০ হাজার টাকা কম পাওয়া গেছে। এতে বিনিয়োগ খরচ পোষালেও লাভবান হতে পারিনি। মাদারবনিয়া গ্রামের কৃষক সালামত উল্লাহ (৪৮) জানায়, তার ২ একর তরমুজ ক্ষেতে জমির লাগিয়ত সহ প্রায় লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। হরতাল অবরোধে গাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ী না আসাতে তাকে ক্ষেতের তরমুজ ক্ষেতেই বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অথচ গত মৌসুমে একই তরমুজ ক্ষেতে তার লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে বলে জানান। এভাবে প্রায় তরমুজ চাষী তাদের লাভ লোকসানের কথা সাংবাদিকদের অকপটে স্বীকার করে বলেন, হরতাল অবরোধ না হলে আর যত সামন্য বৃষ্টি হলে এবার যেভাবে তরমুজ উৎপাদন হয়েছে সেভাবে কৃষকেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে সোনারপাড়া, কোটবাজার, মরিচ্যা ও উখিয়াসদর সহ হাটাবাজারগুলো তরমুজে সয়লাব হলেও চড়া দাম হওয়ার কারণে অনেকের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তরমুজের স্বাদ নিতে পারছে না। ক্রেতারা বললেন, বড় সাইজের একেকটি তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন’শ টাকা। তরমুজ ব্যবসায়ী নুর আহমদ জানান, তারা ছোটবড় গড়ে তরমুজ ক্ষেত ক্রয় করেছে। যেজন্য তাদেরকে একটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। একাধিক ক্রেতা জানান, হরতালের গ্যাড়াকলে পড়ে তরমুজ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্ত্ব ব্যবসায়ীরা। তারা যে তরমুজ উপকূল থেকে ৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছে সে মাঝারি সাইজের তরমুজ এখানে বিক্রি করছে ১৫০ টাকা দরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ৫শ’ একর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তরমুজের আকার ছোট হয়েছে বলে স্বীকার করলেও কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।