১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ২৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

উখিয়ার হরিণমারায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগে শত গ্রামবাসী


উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিনমারা খালের উপর সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার শত শত গ্রামবাসী। জরাজীর্ণ কাঠের তৈরী সেতুটি ভেঙ্গে গিযে যেকোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারী সহ বিদ্যালযের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের হরিনমারা ষ্টেশনের দক্ষিন পাশে দীর্ঘচার বছরের পুরানো কাঠের সেতুর খুটির অধিকাংশ পঁচে গিযে হেলে পড়েছে, নষ্ট হয়ে গেছে পারাপারের জন্য বিছানো কাঠের তত্তা। প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছে শত-শত গ্রামবাসী, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষিন- পশ্চিম হরিনমারা ও নলিকাঘোনার শত শত গ্রামবাসী যাতায়তের এক মাত্র মাধ্যম ঐ গ্রামীন সড়ক । তেতুল গাছ সংলগ্ন হরিনমারা খাল দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কোনমতে হেটে পার হলেও বর্ষা মৌসুমে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিগত চার বছর আগে স্থানীয় মহিলা মেম্বার কামরুন্নেছার একান্ত প্রচেষ্টায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিলেও বর্তমানে তা পারা-পারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ফারুক আহমদ জানান, উখিয়া সদর ষ্টেশন ও কোটবাজারে বিভিন্ন কাজে সেতুর উপর দিয়েই স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত যাতায়ত করতে হয়। এ ছাড়াও স্কুল, মাদ্রাসার ৫০/৬০ ছাত্র-ছাত্রীকে পড়া-লেখা করতে ঐ নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন যেতে হয়, দেখা গেছে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সেতু পার করে দিতে সংসারের শত কাজ ফেলে ভাঙ্গা সেতু পর্যন্ত এগিয়ে আসে, কারন তারা তাদের সন্তানকে নিয়ে কোন ঝুকি নিতে চান না।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ শাহজাহান বলেন, বর্তমান সরকারের সময় সারাদেশে ব্যপক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এলাকার ৬০/৭০ টি পরিবারের শত মানুষ রয়ে গেছে চরম অবহেলিত এখানের শত জন সাধারনের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছে দরিদ্রসীমার নিচে, অনেকে জঙ্গল থেকে শুকনো লাকড়ী কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি ক্ষেত খামারী করে জীবন নিবাহ করে থাকে এবং তাদের প্রতিদিন ঐ সব লাকড়ী বা তরকারী উখিয়া কোটবাজার সহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির করার জন্য কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া রোগ বালাই যে কোন সমস্যায় ডাক্তার ও হাসপাতালে রোগীকে নিতে হয় কাঁধে ভার করে। পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে পৌছার আগেই জীবনের প্রদীপ নিভে যায় মাঝ পথেই। সেতুটি যদি হয় তাহলে যে কোন গাড়ি পারাপার করতে পারবে, ফলে হাজারো দূর্দশা থেকে মুক্তি পাবে, বদলে দিতে পারে শতশত গ্রামবাসীর ভাগ্য। ইতিমধ্যে ঝুকিপুর্ন সেতুর ব্যপারে এলাকার জনসাধারন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নিকট একটি আবেদন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে করা হলেও হতাশা কাটেনি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর দাবী একটু সুদৃষ্টি পারে অবহেলিত জনপদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের সুযোগ দিতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।