২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ

উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে ঝাটকা ও মা মাছ নিধন অপ্রতিরোধ্য

index
উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ঝাটকা,রেনুপোনা ও মা মাছ নিধন চলছে। প্রায় ৫ হাজার জেলে এ কাজে জড়িত। সরকারী ভাবে মৎস আইনের প্রয়োগ না থাকায় ঝাটকা নিধন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। নিধনকৃত ঝাটকার মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা গেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বছরে কমপক্ষে ৫০লাখ টাকার মাছ রপ্তানী সম্ভব হবে। এমন অভিমত সচেতন মহলের।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে কমপক্ষে ১০ হাজার জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে জিবিকা র্নিবাহ করে আসছে। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের অধিকাংশই নিরক্ষর। তারা জানেনা ঝাটকা, রেনোপোনা ও মা মাছ নিধন মৎস আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। তাই জেলেরা মাছ ধরার কাজে কোন নীতিমালা মানছেনা। অশিক্ষিত জেলেরা সাগরে বেশি মাছ পাওয়ার আশায় প্রতিনিয়ত কারেন্ট জাল, টানা জাল, রগ জাল,মশারী জাল, টলিং জাল, জগৎ বেট, ফাঁসি জাল সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব জালে মাছ আটকা পড়লে সাথে সাথে মারা যায়। কারেন্ট জাল ও মশারী জালের কারণে তিনিয়ত বিপুল পরিমান ঝাটকা, রেনুপোনা ও মা মাছ মারা পড়ছে ব্যাপক ভাবে। জেলেদের জালে ঝাটকা ও রেনুপোনা ধরা পড়লে তারা বড় মাছ গুলো সংরক্ষণ করে রেনুপোনা গুলো সাগরে ফেলে দেয়। যার কারণে সাগরে মাছের আকাল লেগেই রয়েছে। মৃত এসব মাছের কারণে সমুদ্রের পানিও দুষিত হয়ে যাচ্ছে। মনখালীর জেলা সোনা আলী, মোহাম্মদ শফির বিলের আব্দু মিয়া, ঘাট ঘর পাড়ার কালা মাঝি সহ অনেক জেলের অভিযোগ নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয়  অপরাধ এ ব্যাপারে সরকারীভাবে কোন প্রচারণা নেই। জেলেদের নেই কোন প্রশিক্ষণ। জেলা ও উপজেলা মৎস সম্পদ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে নিরব। তাই জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। কিছু কিছু শিক্ষিত জেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছে। সোনার পাড়ার নুরু মাঝি, হাবিব উল¬াহ সহ অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা নাগরিক নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলের জেলেদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে ঝাটকা, রেনুপোনা ও মা মাছ নিধনের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করে মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার মাছ রপ্তানী করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ড. মঈন উদ্দিন জানান, নিষিদ্ধ জালের ব্যাপারে তিনি খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।