৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

উখিয়ার পিঁয়াজ যাচ্ছে মিয়ানমারে


উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার ভারত থেকে ভুর্তকি দিয়ে পিঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি করলেও সাধারণ জনগণ সে সুবিধা পাচ্ছে না। উখিয়ার অর্ধ শতাধিক পাইকারী ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সিংহভাগ পিঁয়াজের চালান খুচরা বিক্রির নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। চোরাচালান প্রতিরোধে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিজিবি সদস্যদের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিলেও থামছে না মিয়ানমারে নিত্যপণ্য পাচার।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ডেইলপাড়া, হাতিমোরা, আজুখাইয়া, ঘুমধুম, তুমব্রু, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, ধামনখালীসহ প্রায় ১১টি পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত পাচার হচ্ছে নিত্যপণ্য। গত কয়েকমাস ধরে ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ মিয়ানমারে ধারাবাহিক পাচারের বিষয় নিয়ে টপ অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে উখিয়া। বিশেষ করে সীমান্তের তুমব্রু ও থাইংখালী রহমতের বিল পয়েন্ট দিয়ে বেশির ভাগ পণ্য পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উখিয়া সদর, মরিচ্যা, কোটবাজার, কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী ও পালংখালী এলাকার প্রায় ২০ জন পাইকারী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১শ’ মেট্রিকটন পিঁয়াজ সরবরাহ আনা হচ্ছে। এসব পিঁয়াজ খুচরা বিক্রির নামে চাঁদের গাড়ীতে করে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সুযোগ বুুঝে এসব পিঁয়াজ নাফ নদী পার হয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য মিয়ানমারে পাচার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী সিরাজ সওদাগর, প্রদীপ সেন, বিশ্ব নাথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী তপন বিশ্বাস জানান, তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তারা এসব মালামাল কিভাবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমাদের জানার কথা নয়। পিঁয়াজ ছাড়াও ভোজ্য ও জ্বালানী তেল, রসুন, আদা, চিনি, সেমাই থেকে শুরু করে আটা, ময়দা, সাবানসহ লক্ষ লক্ষ টাকার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ মিয়ানমারে পাচার হলেও দেখার কেউ নেই।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, নিত্যপণ্য পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ার কারণে তারা চোরাচালান প্রতিরোধ করতে পারছে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।