
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার উখিয়া এলাকায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত এ অভিযানে একজন রোহিঙ্গা চোরাকারবারীকে আটক করা হলেও মূল হোতা শীর্ষ মাদক কারবারি ছোটন ও মামুন পলাতক রয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল বালুখালী এলাকার সীমান্ত সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। আনুমানিক রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার দিকে মিয়ানমার দিক থেকে ৩ জন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পালাতে না পেরে রোহিঙ্গা মোঃ সাদেক হোসেন (২০) আটক হয়। পরে তার ফেলে দেওয়া নেটের ব্যাগ তল্লাশি করে ১৫ কাটে মোড়ানো দেড় লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিজিবির হাতে আটক হওয়া সাদেক হোসেন শীর্ষ মাদক কারবারি ছোটন ও মামুন সিন্ডিকেটের একজন নিয়মিত মাদক বাহক। আটক এই মাদক বাহক ছোটন/মামুন সিন্ডিকেটের সদস্য। আটক যুবকসহ অর্ধশত নারীপুরুষ তাদের বাহক হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বালুখালীর আলোচিত ছোটন (২৯) ও আরেক আলোচিত শীর্ষ মাদক সম্রাট মামুন দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে মাদক কারবার পরিচালনা করছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন রোহিঙ্গাকে ভাড়া করে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বাংলাদেশে আনার দায়িত্ব দেন।
প্রসঙ্গত, বিজিবির প্রকাশ করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছোটনের নাম ঠিকানা উল্লেখ থাকলেও, মামুনের নাম উল্লেখ না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের মুখে মুখে জানা যায়, ছোটন ও মামুন সিন্ডিকেটের ইয়াবা বিজিবির হাতে আটক হয়েছে। অথচ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ছোটনের নাম থাকলেও তার সিন্ডিকেটের অন্যতম সহযোগী মামুনের নাম নেই।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মরিচ্যা চেকপোস্ট এলাকার ইয়াবা সম্রাট জসিম, দু’সহোদর মিজান ও সাইফুলের ইয়াবা কারবারের যোগানদাতা এই মামুন ও ছোটন। বর্তমানে এরা সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী এলাকাবাসীর।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আব্দুর রহিম (৩২)—পিতা: আঃ সালাম, গ্রাম: রহমতের বিল—এর নির্দেশেই সাদেকসহ অন্যান্য রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এ চালান আনা হচ্ছিল। আব্দুর রহিম ইতোপূর্বে বিজিবির দায়ের করা দুইটি মাদক মামলার পলাতক আসামি।
উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি জানান, “সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ রোধে আমাদের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। জড়িত পলাতক সকল মাদককারবারীকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও আটক সাদেক হোসেনকে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।