২০ আগস্ট, ২০২৫ | ৫ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৫ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

উখিয়ায় নতুন তালিকায় আবারো ৩০ মুক্তিযোদ্ধা!

উখিয়ায় নানান অভিযোগ আর ব্যাপক আপত্তির মধ্যে শেষ হলো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদনকৃত ৭৭ জনের মধ্যে ৩০ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রচার সম্পাদক এম রাজ্জাক। বর্তমানে নতুন ৩০ জনসহ উখিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৩ জনে। তবে গেজেট না হওয়া পর্যন্ত নতুন মুক্তিযোদ্ধারা কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে না।
সুত্রে জানা গেছে, উখিয়ায় বর্তমানে ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী ৪৩ জনের মধ্যে ভারতের তালিকায় না থাকায় ২২ জন কে নতুন করে যাচাই বাচাই করা হয়। যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া শেষে নতুন ৩০ জন ও গেজেটপ্রাপ্ত ২২ জনসহ ৫২ জনের তালিকা ঘোষনা করা হয়েছে। এদিকে যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়ায় আবেদনকৃত ৭৭ জনের মধ্যে ১৯ জন অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান পাওয়া এডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে তবে ছালামত উল্লাহ নামের একজন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান পাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রচার সম্পাদক এম রাজ্জাক বলেন, সমস্ত অভিযোগ আর আপত্তি যাচাই-বাচাই শেষে আবেদনকারী নতুন ৩০ জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার উখিয়ায় শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রথমদিনে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষেধসহ পরবর্তীতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তকরণসহ নানান অভিযোগে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। এএছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন এবং যারা ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তার তালিকা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সনদ পাননি কিন্তু গেজেটভুক্ত কিংবা মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদপত্র পেয়েছেন এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাতা পাচ্ছেন তাদের ও যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।