১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

উখিয়ায় অভিযোগকারীদের উল্টো চিঠি ইস্যু করে অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার!

 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে চলমান তদন্ত ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার ১৫ মার্চ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং-উশিঅ/উখিয়া/২৩/১৬০) আভিযোগকারীদের আগামী ২২ মার্চ (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় তার কার্যালয়ে তদন্তানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ওই চিঠিতে তিনি কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্মারক নং-জেপ্রাশিঅ/কক্স/২৩/২৫২(১০) প্রেরিত চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক এই আহ্বান করা হয় বলে জানান। যদিও চিঠিটি এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অধিকাংশ আভিযোগকারী হাতে পৌঁছেনি।

এ চিঠির বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড সহ নানা অনিয়মের একটি অভিযোগ করি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।

এর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি (স্মারক নং ৩৮.০১.০০০০.০০০.২৭.০৫৫.৫৪৭.২১-৪০৭/৫) প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম প্রেরিত এক চিঠিতে দেওয়া নির্দেশ মতে পত্র প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের কথা বলা হয়।

অভিযোগকারীরা আরো বলেন, সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তদন্তের নামে এক ধরণের প্রহসন করছেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি চোরকে বিচার করতে দেওয়ার মতো। শুধু তাই নয় তদন্তানুষ্ঠানে উখিয়ার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এটি কোন তদন্ত হবে না। তদন্তের নামে নাটক করার পায়তারা করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এটি কখনোই হতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে জানতে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তারকে কল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করে কথা না বলে কল কেটে দেন।

অভিযোগকারীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরী তদন্তের কার্যক্রম জানান, তিনি বলেন তদন্তের স্বার্থে আমাকে অভিযোগকারী, অভিযুক্তসহ শিক্ষক-কর্মচারীর সাথেও কথা বলতে হতে পারে। অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগকারীদের চিঠি ইস্যু করতে পারে না। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আমি কথা বলবো।

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কঠোর নজরদারীতে রেখেছেন বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।