১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ইয়াবা ব্যবসা করে হাজী গাজীরাও রেহাই পাবে না -পুলিশ সুপার মাসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইয়াবা ব্যবসা করে হাজী গাজীরাও রেহাই পাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

তিনি বলেন, বড় ছোট বলে কথা নয়, কোন ইয়াবা কারবারির রেহাই মিলবে না। ক্রমান্বয়ে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইয়াবায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার (৩১মে) বিকালে টেকনাফ উপজেলাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নের মাদক নির্মুল ও প্রতিরোধ কমিটির কার্যালয় উদ্বোধনকালে এবিএম মাসুদ হোসেন কথাগুলো বলেছেন।
তিনি বলেন, সমাজে অনেক মুখোশধারী ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। সবার মুখোশ খুলে দেয়া হবে। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে তারা রেহাই পাবেনা। কোনো জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে ঘরের পাশে বা এলাকাতে কোনো মাদক কারবারী থাকলে; মাদক ব্যবসা করলে, সেই জনপ্রতিনিধিদেরও কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, উখিয়া টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাহিদ আদনান তাইয়ান, জেলা ডিএসবি শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা,ও স্থানীয় মাদক বিরুধী জনসাধারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, সারা দেশে মাদকের জন্য টেকনাফের একটি বদনাম রয়েছে। সবার সহযোগিতায় এই বদনাম থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। বর্তমান সময়ে টেকনাফে এই মাদক ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তা বুঝা যায় এই বারের এসএসসি পরীক্ষায় টেকনাফের ফলাফল দেখে। কারণ কক্সবাজার শহরে অবস্থিত একটি নরমাল উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ ৫ এর সংখ্যা ৭টি। কিন্তু পুরো টেকনাফে এর সংখ্যাও মাত্র ৭টি। এ থেকে উত্তরণে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি মাদক নির্মুল কমিটির সদস্যদের উদ্দশ্যে বলেন, আপনারা মাদক নির্মূলে কাজ করেন। আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। মাদকের সাথে জড়িত কোনো ব্যক্তি এই কমিটির সাথে যুক্ত থাকতে পারবেনা।
এদিকে, মাদক বিরোধী কমিটির শুরু থেকে কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তি থাকলেও পুলিশ সুপারের অনুষ্ঠান স্থলে তাদের দেখা যায়নি।
এই ব্যাপারে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সঠিক যাচাইয়ের মাধ্যমে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের নিয়ে মাদক নির্মুল ও মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। এখানে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান হবেনা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।