৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১৯ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ইয়াবাসহ ওমর ফারুক বিজয় নামের এক যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দের পর সন্দেহভাজন চোর হিসাবে ১৫১ ধারায় চালান দিয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে আদালত থেকে এলাকায় ফিরে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে ওই যুবক।

স্থানীয় আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে ওমর ফারুক বিজয় (১৯) একজন খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী। গত ২৯ আগস্ট রাতে তিনিসহ স্থানীয় জনতা কিছু সংখ্যাক ইয়াবাসহ উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। রীতিমত পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যান। পরদিন ৩০ আগস্ট তাকে চোর সন্দেহে ১৫১ ধারায় চালান দেয়া হয়। যার কারনে ওই যুবক আদালত থেকেই জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে।

স্থানীয় আতিকুর রহমান আরও বলেন, জনতা কর্তৃক সোপর্দ করার পর সহজেই জামিন পাওয়ার কারনে এলাকার লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তার ভাষ্যমতে, ইয়াবাসহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা যুবক, যখন সহজেই এলাকায় ঘুরতে দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এম. মনজুর আলম বলেন, ‘ওমর ফারুক বিজয় একজন চিহ্নিত খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী। পুলিশ তাকে চোর সন্দেহে চালান দেয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চম্পক বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় কাউকে নিয়ে আসার পর, সব দায়িত্ব ওসির। আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।’

আসামি চালানে অগ্রগতিকারী হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ওসির। বুধবার দুপুরে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পরে প্রতিবেদককে থানায় চায়ের দাওয়াত দেন ওসি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।