২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

ইমরুল কায়েস উখিয়ার আকাশের নতুন সূর্য

জসিম আজাদঃ ইমরুল কায়েস চৌধুরী। আমার অগ্রজ। ২০০১-এ এসএসসি শেষ করে কক্সবাজার সরকারী কলেজে ভর্তি হয়ে ইমরুল কায়েস চৌধুরীকে পেয়েছিলাম। উনি তখন দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। সেই থেকে উনাকে খুব কাছ থেকে চিনি। তিনি শৈশব থেকে খুবই স্পষ্ট বাদী, সৎ, প্রতিবাদী ছিলেন।

তিনি পড়াশোনার ইতি টেনে যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। সাংবাদিকতার শুরু বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল ‘চ্যানেল 24’ -এর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে। হাতে তুলে নেন প্রতিবাদের অনন্য অস্ত্র কলম ও ক্যামেরা। প্রতিবাদ করেন প্রত্যেকটি অন্যায়ের। কখনো ব্যক্তিগতভাবে, কখনো সংগঠিতভাবে গড়ে তুলেছেন অসংগতির বিরুদ্ধে আন্দোলন।

দেশের যে কোন সংকটময় সময়ে মানুষকে সংবাদ পৌঁছে দিতে ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে। সঠিক সংবাদ উপস্থাপন করতে গিয়ে মরণকে ভয় করেননি। দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন কঠিন সত্যকে। তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে মগ্ন রেখেছিলেন। রাত-দিন কিংবা উঁচু-নিচু’র কোন অজুহাত কখনো দেখাননি। ছুটে গেছেন মানুষের প্রয়োজনে।

তার একটি ছবিতে পুলিশ কনস্টেবল শের আলী হয়েছেন বিখ্যাত। আর কোন ছবি হয়েছে দূর্নীতিবাজদের মূর্তিমান আতঙ্ক।

২০১২ সালের ২৯ ও ৩০ সেপ্টম্বর রামু ও উখিয়া যখন সাম্প্রদায়িকতার অনলে জ্বলছিলো ঠিক তখনই ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাঁয়িয়ে ছিলেন বৌদ্ধ পল্লীর ভয়ে কাতর অসহায় মানুষগুলোর পাশে। ছুঁটে গিয়েছিলেন রামু, ছুঁটে এসেছিলেন উখিয়াতে। তিনি ব্যস্ত থাকেননি অনেকের মত সার্কিট হাউজের সেই সাংস্কৃতিক জলসায়।

কঠিন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিলাস বহুল গাড়িতে বসে রঙ্গিন-চশমা দিয়ে উখিয়াকে দেখেন না। দেখেন সাদা চোখে হৃদয় দিয়ে। তিনি উখিয়ার গণমানুষের নাড়ীর স্পন্দনকে গভীরভাবে অনুভব করেন। তাই তো তিনি ছুঁটে আসেন উখিয়ার মানুষের যে কোন সংকটকালিন মূহুর্তে। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ছুঁটে এসেছেন রোহিঙ্গা জর্জরিত উখিয়ার মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। এই তো সেদিন তিনি ছুঁটে এসেছেন উখিয়ার হাজারও তরুণের চাপা কষ্টের স্বরকে ধারণ করে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। তাই তো ইমরুল কায়েস চৌধুরী হয়েছেন উখিয়ার তারণ্যের প্রতিস্বর। উখিয়ার যে তারণ্য র্শরীফ আজাদের নেতৃত্বাধীন অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে গর্জে উঠেছে তার হয়েছেন অধিস্বর।

তিনি বর্তমানে যমুনা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ইমরুল কায়েস চৌধুরী, জন্ম থেকে রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় কম বয়সে রাজনৈতিক অনেক গুন অর্জন করেছেন। পাশাপাশি পেয়েছেন পিতার অমায়িক গুনসমূহও।

তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনের ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে পাল্টে গেছে উখিয়ার নির্বাচনী দৃশ্যপট। এলাকাবাসীর কাছে এই ইমরুল যেন অনেক যুগের সাধনার ফল। তাদের কাছে ইমরুল উখিয়ার নতুন সূর্য।

এই তরুণ সূর্যের সফলতা ও উজ্জলতা কামনা করছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।