১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া

norail-md20161204203133
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর নড়াইলের কালিয়ার পারবিষ্ণুপুর গ্রামটিতে গত দুদিন ধরে হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ গ্রাম ছেড়েছেন।

রোববার দুই বাড়িতে মফিজ বিশ্বাসের সমর্থকরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এসব হামলার কারণে মিহির মোল্যা গ্রুপের প্রায় ২ শতাধিক মানুষ এবং অজানা শঙ্কায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গ্রাম ছেড়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অশ্রয় নিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মিহির মোল্যার সমর্থকরা জানান, গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে মিহির মোল্যার সমর্থকদের বাড়িঘরে প্রতিপক্ষরা হামলা চালায়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিপক্ষ মফিজ বিশ্বাসের সমর্থকদের হামলা হুমকির মুখে মিহিরের সমর্থকরা গত দুদিন ধরে গ্রাম ছাড়া রয়েছেন।

রোববার মিহিরের সমর্থক দুখু মিয়া ও ছাত্তার মোল্যার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে মফিজ গ্রুপের সমর্থকরা।

পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মনি অব্যাহত হামলার কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজ বিশ্বাসের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আর রাতে মিহির মোল্যার সমর্থকদের বাড়ি চিহিৃত করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে। এদিকে অপর গ্রুপের নেতা মফিজ বিশ্বাসের ও কাজল মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গণি মিয়া বলেন, পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে বা প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে কিছু লোক গ্রাম ছেড়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার ওই গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মিহির মোল্যা ও মফিজ বিশ্বাস গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মিহির মোল্যা গ্রুপের ৬ জন গুলি বিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত ১৮টি বাড়ি-ঘর ও ২ টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।