১৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ১ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৪ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

আমের কেজি ১ টাকা!

গত রোববার বিকেল থেকে টানা কালবৈশাখীর ঝড়ে কপাল পুড়েছে মধুফল আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের।

এই হঠাৎ ঝড়ে বিভিন্ন বাগানে হাজার হাজার মণ আম পড়ে রয়েছে। ক্রেতার অভাবে মাত্র এক টাকা কেজিতে আম বিক্রি হচ্ছে।

গত দুদিনের ঝড়ের তাণ্ডব দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আবার ঋণের জালে বন্দি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

এ বিষয়ে চারঘাট-বাঘার আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নাফ বলেন, রোববার বিকেল থেকে ভোররাত এবং সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত টানা কালবৈশাখীর আঘাতে চারঘাট-বাঘা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, গত দুইদিনে যে পরিমাণ আম ঝরে পড়েছে তা এক টাকা কেজিতেও কেউ কিনছেন না। ফলে ঝরে পড়া আম নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে চারঘাট-বাঘার আম চাষিদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি আবদুল মান্নাফের।

এছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে যারা ঋণ নিয়ে আমের মুকুল কিনেছিলেন, তাদের ভিটেমাটি বিক্রি ছাড়া ওই ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুজাফর মো. সাদেক বলেন, চারঘাট উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ইরি বোরো ধান ছিল সেগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, তিল ও মুগ কালাইয়ের কিছু ক্ষতি হয়েছে তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল আমের। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের কঠিন বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

এদিকে পরপর দুইদিন কালবৈশাখীর তাণ্ডবে দুই উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট-বাঘা উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা গত ৭২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ আসার কথা জানা গেছে।

নাটোর পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ এর চারঘাট জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার আবদুল কাদের বলেন, কালবৈশাখীর ছোবলে উপজেলার বামনদিঘিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে। এছাড়া ৬০টি জায়গায় তার ছিড়ে গেছে এবং ৭০টি মিটার নষ্ট হয়েছে।

এসব কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত চারঘাট-বাঘার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। তার ধারণা, সব এলাকায় বিদ্যুৎ সচল করতে আরও এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।