২৮ আগস্ট, ২০২৫ | ১৩ ভাদ্র, ১৪৩২ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫

আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের : ভারতীয় আদালত

ভারতের উত্তর প্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তিরস্কার এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ‘আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের। রাজ্য সরকার তাতে নিষেধাজ্ঞা বসাতে পারে না। ’‌
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মাংস ব্যবসায়ীদের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সেখানে মাংস বিক্রেতাদের হয়ে সওয়াল করেন লখনউ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক এপি শাহী এবং সঞ্জয় হারকৌলি।
তাঁরা বলেন, ‘‌মানুষ কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেটা মানুষকেই ঠিক করতে দিন। আমিষ খাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁদের। রাজ্য সরকার তা কেড়ে নিতে পারে না। বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করছেন করুন। তবে বৈধ কসাইখানাগুলি কী দোষ করেছে?‌ লাইসেন্সের পুননর্বীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে কেন?‌ নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদেরই বা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না কেন?‌ এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না রাজ্য সরকার। ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আবেদনকারীদের লাইসেন্স দিতে হবে। ’‌
আগামী ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। তারধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে।
মার্চ মাসের বিধানসভা ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। দায়িত্ব হাতে নিয়েই রাজ্যের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। এতে বৈধ কসাইখানাগুলির ওপরও কোপ পড়ে। যোগী বাহিনীর দৌরাত্ম্যে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মাংস বিক্রেতারাও।
প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। মার্চ মাসের পর থেকে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদেরও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশ। প্রায় দু’‌ডজন আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার তাঁদের ফরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের পাশাপাশি নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন রাজ্য সরকারকে তাঁদেরও লাইসেন্স দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বহু কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছিল যোগী সরকার। আদালতের নির্দেশের পর সেই কসাইখানার মালিকরাও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্র : আজকাল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।