২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

আফগানিস্তানে আবার যুদ্ধ ঘোষণা করল তালেবান

গতকাল শুক্রবার আফগানিস্তানে আবারও ‘স্প্রিং অফেনসিভ’ (বসন্তের যুদ্ধ) ঘোষণা করেছে তালেবান জঙ্গিরা ৷ এই যুদ্ধে আফগান সেনাবাহিনী ও ন্যাটো সৈন্যদের উপর ভয়ানক হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা করেছে তালেবান৷ জঙ্গিগোষ্ঠীটি এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন মনসৌরি’৷ ২০১৬ সালে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত তালেবান জঙ্গি নেতা মনসৌরির নাম এই অভিযানের নামকরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা৷

জঙ্গিগোষ্ঠীটি জানিয়েছে, এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আফগানিস্তানে থাকা ন্যাটো ও বিদেশি সৈন্যদের উপর হামলা চালানো৷ তাদের সামরিক ও কৌশলগত ভাবে বিপর্যস্ত করা৷ এবং এর জন্য গেরিলা যুদ্ধও চালানো হবে৷ শেষ বিদেশি সৈন্য থাকা পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান৷

আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে শত্রুদের উড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা৷ আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা তালেবান জঙ্গিরা প্রয়োজনে এমন হামলা চালাবে বলেও জানিয়েছে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী৷

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর থেকেই আফগান নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে অনেকেই তালিবানকে গোপনে সমর্থন জানিয়েছে৷ সেনাঘাঁটি ও পুলিশের উপর আত্মঘাতী হামলা চালানোর পিছনেও রয়েছে ওই সমর্থকরা৷

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহরের একটি সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল তালেবান৷ ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৫০ আফগান সৈন্যের৷ হামলার সময় ওই সেনাঘাঁটিতে ছিলেন বেশ কয়েকজন ন্যাটো উপদেষ্টা৷ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আফগান সৈনিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল৷ এই মুহূর্তে আফগানিস্তান তালেবান ও ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে প্রায় ৮,৪০০ মার্কিন সৈন্য ও ৫০০০ ন্যাটো সৈন্য৷

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।