২৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আজ উখিয়ায় আসবেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দিনের সফরে গতকাল ঢাকা এসেছেন। আজ তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে সাথে নিয়ে টেকনাফের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এ দিকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে গতকাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি খোলামেলা আলোচনা করেন। বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিও উপস্থিত ছিলেন।
সু চি উত্তর রাখাইনের সঙ্ঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি দেন। তিনি জটিল এ ইস্যুটি নিরসনে সময় ও সুযোগ চান। রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবহিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন সু চি।
আশিয়ান মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রতি রক্ষা, বেসামরিক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা এবং রাজ্যের সবার জন্য আরো মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে পরামর্শ দেন।
সু চি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের চৌকিতে হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়ার উদ্যোগে এবং ইন্দোনেশিয়ার আয়োজনে ইয়াঙ্গুনে আসিয়ান মন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার আটক, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, উত্তর রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত সহিংসতার ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার বারবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব কর্মকাণ্ডে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
আনিফা আমান বলেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার অভিযোগ খণ্ডন করতে মিয়ানমার সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে, সঠিক সময়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিতে হবে এবং আক্রান্ত এলাকায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।