৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

আগুনে পুড়লো বাক প্রতিবন্ধি


উখিয়া উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত কোটবাজারের দক্ষিণ ষ্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি দোকান এবং ১৪ টি কলোনী বাসা সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাসার ভিতর অবস্থানরত মৃত আবদু ছবিরের বাক প্রতিবন্ধী কন্যা জুবেদা খাতুন (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন। অগ্নিকান্ডে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। ১৮ জানুয়ারি বুধবার ভোর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর রাতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যেই দোকানপাট সহ কলোনী বাসা গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাতিনেক পর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে বাসার ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নিহত জুবেদা খাতুনকে উদ্ধার করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী নুরুল আলম এবং নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। ভোর রাতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নুরুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার বিয়ের ফার্নিচার সরবরাহ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন আমি সব হারিয়ে রাস্তায় নেমে গেছি। ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
স্থানীয় রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, অগ্নিকান্ডে ১৪টি দোকান এবং ১৪ টি কলোনী বাসা তৎমধ্যে ৮ টি ফ্যামেলি বাসা, ৩টি ব্যাচেলর বাসা এবং ৩ টি খালি বাসা সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কোটি টাকা বলে জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ৮ টি পরিবারকে ৪ টি কম্বলসহ নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং ৩ টি ব্যাচেলর ফ্যামেলিকে ২টি কম্বলসহ নগদ তিন হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন এবং উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।