সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৬০’র দশকের রাজনীতিবীদ বাবাকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা দিতে একই পরিবারের পাঁচ ছাত্রনেতাদের প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুতি।
তৃণমূল কর্মীরাই আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রেখেছেন- প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সূচনালগ্ন হতে প্রায় পাঁচ দশক(৫৫বছর)ধরে বঙ্গবন্ধুর সময় কাল থেকে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন মোজাফ্ফর আহমদ (মাস্টার)। রাজাকারদের ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে কারা বরণ করে চাকরিচ্যুত হন।
তৃণমূলের প্রাণ হয়েও তাঁদেরকে কে বা কারা দেখভাল করে? মাননীয় নেত্রীর কাছে প্রশ্ন।
বলছিলাম, পূর্বপাকিস্তান আমল থেকে নৌকাবাজ এ.কে.এম মোজাফফর আহমদ (মাস্টার) এর কথা, যিনি আমার আব্বা। তিনি তৃণমূলের আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর কর্মী। বঙ্গবন্ধুর সময়কাল থেকে যিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গোপনীয় বৈঠকে চিঠি পেয়ে ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের আত্নমর্যাদা থেকে যিনি সব সময় অংশগ্রহণ করতেন।
সরকারি চাকুরিজীবি হয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গোপন বৈঠকে স্ব-শরিরে উপস্থিত হয়ে নিজের বুদ্ধি, শ্রম, অর্থ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে গেছেন আজীবন।
রাজাকারদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার অবস্থানে থেকেছেন। এমনকি চিহ্নিত এক রাজাকারকে মু্ক্তিযোদ্ধে ভিন্নমত পোষণে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে মারার ইস্যু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার অপরাধে রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে কারাবরণ করে। সরকারি চাকরিচ্যুত হন। রবর্তীতে বাবার সহপাঠী ও বঙ্গবন্ধুর সহচর প্রায়াত নেতা মোজাম্মেল হক সাহেবের সহযোগিতায় কারামুক্ত হন। তিনি বাবাকে চাকরিতে পুঃন যোগদানে সহয়তা করেন।
আবসরে যাওয়ার পরপরই ব্রেইনষ্ট্রোক করে সরকারি কর্মচারির দীর্ঘ পাঁচ-দশকের (৫৫বছরে) রাজনৈতিক জীবনে ভাটা পড়ে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির সক্রিয় দায়িত্বের ইতি টানতে হয়েছিল।
ধর্মীয় মূল্যবোধ, নীতি নৈতিকতার পাশাপাশি আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের শিক্ষা দিয়ে গেছেন বাবা সারাজীবন। শিক্ষকতা জীবনেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরে নিজের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রিয় নেতাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আজীবন।
প্রয়াত নেতা মোজাম্মেল হক সাহেব, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বীর মুক্তিযুদ্ধা (বাবার ছাত্রজীবনের বন্ধু),
প্রায়াত নেতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বঙ্গবন্ধুর সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা।
প্রয়াত অ্যাডঃজহিরুল ইসলাম, গণপরিষদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠ সহচর, বীর মুক্তিযুদ্ধা।
কামাল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বাবার বন্ধু)।
খানবাহাদুর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযুদ্ধা (বাবার বন্ধু)। বাবা সভাপতি থাকাকালীন কক্সবাজার ৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী সাহেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ কে আহমদ হোসেন মিঞা মরহুম,বীর মুক্তিযুদ্ধা,(বাবার বন্ধু)।
অ্যাডঃসাহাব উদ্দিন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা। (বাবার বন্ধু)
অ্যাডঃহাবিবুর রহমান সাহেব,বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মনিরুল আলম চৌধুরী সাহেব,বীর মুক্তিযুদ্ধা,(বাবার বন্ধু)।
আমানুল হক চৌধুরী মরহুম নানা,মুক্তিযুদ্ধা (বাবার কাছের জন)।
হাফেজ আহমদ মাস্টার মরহুম,মুক্তিযুদ্ধা (বাবার বন্ধু)।
নুরুল আলম চৌধুরী নানা মরহুম,মুক্তিযুদ্ধা (বাবার স্বশুর)।
মোস্তাক আহমেদ নানা,মুক্তিযুদ্ধা (বাবার স্বশুর)।
মরহুম মুক্তিযুদ্ধা আব্দু শুক্কুর (বাবার খুব কাছের সহকর্মী ছিলেন)
মরহুম মুক্তিযুদ্ধা ডা. আবদুল মুকিদ (বাবার সহযোদ্ধা)
কথা অনেক বলতেন যখন স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারতেন।
বিদ্রঃ বাবার মুখ বিবরণী অনুকরণে..।
এখন ওনাদের নাম শুনলে অঝর নয়নে কেঁদে চোখের পানিতে বুক ভাসান!!
সরকারি কর্মচারী হিসেবে অনেক বিধি নিষেধের মধ্যে হয়ত বাবা বেশি ফোকাসের সাথে জেলার সর্বস্তরে রাজনীতি করে জননেতা হতে পারেন নাই!
অবসর গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যে পড়ে যান গুরুতর অসুখে যার ফলশ্রুতিতে সক্রিয় রাজনীতির গন্ডির পরিসর বাড়ানো বাবার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি!!
তাতে কি?
এগারো সন্তানের জনক মোজাফফর আহমদ মাস্টার সবাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শের শিক্ষা দিয়ে গেছেন আজীবন।
বড় ছেলে এ বি এম হামিদ উল্লাহ:
উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি,যুবলীগ,বর্তমানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতছেন,,
প্রবীন ত্যাগী নেতার ছেলের স্থান মেলেনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে।
জীবন বীমা করপোরেশন কক্সবাজার সদর শাখার ব্রাঞ্চ ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।
চার মেয়ে
উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন (বিবাহিত)
মোশাররফ হোসেন(৬ষ্ট সন্তান)
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে এমবিএ করতেছেন পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলে অতিথি শিক্ষক।
মোবারক হোছাইন (৭ম সন্তান)
প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে জড়িয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, বাবার আদর্শে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক, ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে সদর ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ছাত্রফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেছেন।
সেই সাথে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে বোটানি বিষয়ে অনার্স বর্তমানে এমএসসি করতেছেন।
মোফাজ্জল হোসেন (তুহিন)[৯ম সন্তান]
তার ও প্রাইমারি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের হাতে কড়ি
ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসম্পাদক, এবং পরবর্তী যুগ্ন সম্পাদক, বর্তমানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়ে এল এল বি অনার্স কতরছে।
দুই মেয়ে (৮ম,১০ম)
এক বাংলা বিষয়ে মহিলা কলেজ
অন্যজন
কক্সবাজার সিটি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্সে আছেন।
রিফাত হাসান (বাবু) [১১ম সর্বশেষ]
মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রলীগের সভাপতি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য, বর্তমানে সিটি কলেজে ছাত্রলীগ নেতা
বর্তমানে
কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে অনার্স করতেছে।
আজ তৃণমূলে বাবার মত হাজারো কর্মী বঙ্গবন্ধু প্রেমিরা সমাজে নির্যাতিত,নিষ্পেশিত হচ্ছে দিনের পর দিন!!
জেলা উপজেলা পর্যায়ের কোন আওয়ামী লীগের নেতা আজ-অব্দি বাবার খুঁজ খবর নেন নাই,যদিও মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় বাবা সুস্থতার সাথে বাকি জীবন টুকু কাটাচ্ছেন!
আওয়ামী লীগের ৭১’তম প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে একজন আদর্শ পিতার সন্তান হিসেবে,একজন ক্ষুদ্র মুজিব সারথি হিসবে জননেত্রীর কাছে
আমাদের দাবি, বাবার মত তৃণমূল পর্যায়ে ত্যাগী কর্মীদের খুঁজে বের করে মুক্তিযুদ্ধের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা প্রদান করা হোক।
অন্যতায় হাইব্রিডদের ভিড়ে হারিয়ে যাবে হাজারে তৃণমূল কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক প্রেমিক।
পিতার সমস্ত সহায় সম্পদ বিক্রি করে আমাদের মানুষ করেছেন। কিন্তু তিনি জীবনের অন্তিম অবস্থায় রিক্তশূণ্য।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা ”
জয় বঙ্গবন্ধু।
-মোবারক হোছাইন
মোজাফ্ফর আহমদ মাস্টারের ছেলে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।