২০ আগস্ট, ২০২৫ | ৫ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৫ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

অাজিজনগর থেকে পাচার হচ্ছে চোলাই মদ: জড়িতরা ধরা চোঁয়ার বাইরে

Shomoy
চকরিয়া উপজেলার হারবাং ও লামার আজিজনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকের রমরমা বাণিজ্য চলে আসছে। এসব এলাকার প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক পাচার করে আসছে। তারা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট লোকজনকে ম্যানেজ করে দিব্যি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে আজিজনগর থেকে প্রতিদিন সড়ক পথে নানা কায়দায় দক্ষিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে চোলাই মদ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ীরা দাপটশালী হওয়ার কারনে তাদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পায় না। সম্প্রতি সময়ে হারবাং ও আজিজনগর রাখাইন পাড়ায় র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সদস্যরা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে হাজার হাজার লিটার দেশীয় তৈরী চোলাই মদ ধ্বংস করলেও ওই সিন্ডকেটটি আবরো নতুন করে কৌশল পাল্টিয়ে মাদক ব্যবসা ও পাচার শুরু করে। তবে বার বার অধরাই থেকে যাচ্ছে মাদক স¤্রাটরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আজিজনগর ও হারবাং এলাকায় দুটি রাখাইন পাড়া রয়েছে। এসব রাখাইন পাড়াকেই বেছে নিয়ে ওই সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকা দাদন দিয়ে মাদক উৎপাদন করে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। রাখাইন পাড়ার অধিকাংশ লোকজন বিভিন্ন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে থাকলেও বর্তমানে মাদকের উপর দাদনের মাধ্যমে টাকা নিয়ে তাদের কাছে জিন্মি হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র রাখাইন জনগোষ্টি।
অভিযোগ রয়েছে, ওই দুটি এলাকায় মাদক তৈরী থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করেন আজিজনগরের মাদক সম্রাট সূচি মং মারমা ইমনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন, উত্তর হারবাং এলাকার বেলাল উদ্দিন, আজিজনগর এলাকার মীর আহমদ, বশর, হারুন, জসিম উদ্দিন, আলমগীর, ছৈয়দ নূর, দিদার ও আবদুল। তারা নিয়মিত গাড়ীযোগে কক্সবাজারের, চকরিয়া পেকুয়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, বাশঁখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া পটিয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করে থাকে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এসব মাদক সিন্ডিকেটের এসব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া, লামা ও পাশ্ববর্তী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে জেলও খেটেছেন।
উপজেলার উত্তর হারবাংয়ের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, উত্তর হারবাং ও আজিজনগর এলাকাকে ঘিরে গড়ে উঠা মাদক উৎপাদন ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন মাদকাসক্ত লোকজনের কারনে সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ পডুয়া ছাত্রছাত্রীরা হেনস্থা হচ্ছে অন্যদিকে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে চুরি, ডাকাতি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে রীতিমত আইনশৃংখলা অবনতি ঘটছে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জানতে চাইলে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোহাম্মদ আলমগীর জানান, হারবাং রাখাইন পল্লীতে মাদক তেরীর স্থান গুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ ক’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
অপরদিকে লামা উপজেলার আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইনর্চাজ) এসআই মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া বলেন, আমি আজিজনগর পুলিশ ফাঁিড়তে যোগদানের পর থেকে মাদক ব্যবসা ও পাচার বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আশা করি এব্যাপারে একটি সুফল পাবো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।