১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অপরাধ নিয়ন্ত্রণের সাথে মানবিক কর্ম ফেরি করেন এসআই দীপক!

বিশেষ প্রতিবেদক:
‘২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করলেও কিছু অপকর্মের জন্য আমরা পুলিশকে শুধু গালিই দিই। এসব বিতর্কিত কর্মের মাঝেও অনেকে আছেন ভালকর্মের ফেরি করে বেড়ান। এসআই দীপক বিশ্বাস তাদের একজন। নিজের সরকারি কর্তব্য পালনের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবার ও ছিন্নমূল এতিম শিশুদের নিরবে পড়ালেখার দায়িত্ব পালন করে বেড়ান। কিন্তু সব বিষয় প্রচারের আড়ালে রাখেন তিনি।’
কক্সবাজারের ক্রাইমজোন খ্যাত মহেশখালী থানায় দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক দীপক বিশ্বাসের নিরবে করে যাওয়া মানবিক কর্মের এভাবে বর্ণনা দিচ্ছিলেন বড় মহেশখালির ফকিরাঘোনা এলাকার মো. শফি।
তিনি জানান, মহেশখালী প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী দ্বীপ হলেও প্রাকৃতিক ভাবে দারিদ্রের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বিবাদমান একাধিক গ্রুপের সাথে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। এসব নিহতদের বাচ্চারা এতিম হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এসবকে উপলক্ষ্য করে অনেক হৃদয়বান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি এতিমখানা চালু করেছেন। সেখানে রয়েছে কয়েকশ এতিম শিশু। এদেরই একজন আলী আকবর (৮)। (ছদ্মনাম) মহেশখালীর ফকিরাঘোনার এতিম আলী আকবর থাকে গোরকঘাটা এলাকার একটি এতিমখানায়।
তিনি আরো জানান, সরকারি কর্তব্য পালনে মোবাইল ডিউটিতে বের হয়ে দীপক বিশ্বাস সেই এতিমখানায় গিয়ে শিশুদের খোঁজ খবর নেন। সেখানে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ারত আকবরকে পড়ালেখা ও অন্যান্য খরচ বাবদ আর্থিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি অংকের টাকা প্রাথমিক ভাবে দিয়েছেন। প্রতিমাসেই পড়া-লেখার খরচটি চেয়ে নিতে তাঁর (এসআই দীপকের) নাম্বারটি দিয়ে এসেছেন ছেলেটির কাছে। কোন দ্বিধা না করে কল করার উৎসাহও দেন তিনি।
মো. শফি আরো বলেন, দারোগা সাহেব নিষেধ করেছেন তার নিরবকর্ম গুলো যেন কাউকে জানানো না হয়। কিন্তু আমি দেখলাম পুলিশের মন্দ কাজগুলো বেশি প্রচার করে মানুষ। এরা যে খাকি পোষাক পরে শুধু অপকর্ম করে তা নয়, ভাল কাজওযে করে সেটা মানুষের জানা দরকার। তাহলে পরখ করতে পারবে সব পেশাতেই ভাল-মন্দ কর্ম করার লোকজন রয়েছে। শুধু এটি ভেবেই ছবিটি তোলা ও সাংবাদিক ভাইদের জানানো। এত কিছু বললেও কি পরিমাণ টাকা তিনি সহযোগিতা দিচ্ছেন আর আকবর কার ছেলে তা প্রকাশ করতে চাননি শফি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীপক বিশ্বাসের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের বাংগরা বাজার থানা এলাকায়। ২০০২ সালে কনষ্টবল হিসেবে পুলিশের চাকুরিতে যোগদেন তিনি। পেশাগত দক্ষতার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও পরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পদোন্নতি পান দীপক বিশ্বাস। গত ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর উপ-পরিদর্শক হিসেবে মহেশখালী থানায় যোগদেন তিনি। এ ক্রাইম জোনে বিভিন্ন এলাকায় কর্তব্যকর্ম পালনের পাশাপাশি মানবিক কর্মগুলোও সম্পাদন করতে নিরবে কাজ করছেন এসআই দীপক বিশ্বাস। তাঁর এ কর্মকে অনেকে পূজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। ###

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।