১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”

অনার্স ফাইনালে ২ যমজ বোনের অভাবনীয় সাফল্য

শাহেদ মিজান:
সদ্য প্রকাশিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স (বিবিএ) ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনী কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে দু’যমজ বোন। তারা হলেন, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম। সামিয়া তাবাস্সুমম সিজিপি-৩.৪৭ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান এবং তাহিয়া তারান্নুম সিজিপি-৩.৪১ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তারা এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেন। যমজ দু’বোনের এই অভাবনীয় ফলাফলে কক্সবাজার সরকার কলেজে ও তাদের পরিবারে এক খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম ২০১২-১৩ সেশনে কক্সবাজার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রখর মেবাধী এই যমজ দু’বোন পড়ালেখায়ও অনেকটা সমানে থাকে। দু’জনই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অনার্সেও প্রতিটি বর্ষে তারা ধারাবাহিক কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অব্যাহত রাখে। তবে অনার্সে দু’জনের একই গ্রেড না পেলেও পয়েন্ট রয়েছে অনেকটা কাছাকাছি।

সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার আধুনগরে। তাদের বাবা সৌদি-আরব প্রবাসী নেজাম উদ্দীন ও মাতা নাসরিন সিরাজ। তারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা দু’বোন যমজ হিসেবে সবকিছুতে দু’জনে এক রকম হতে চেষ্টা করি। আমাদের পোশাক থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলই বলতে গেলে অবিকল। শিক্ষা ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত দু’জন সমানে সমান ছিলাম। তাইতো ওই দু’পরীক্ষাতেই দু’জনেই জিপিএ-৫ অর্জন করেছিলাম। তবে অর্নাসের ফলাফলে মাত্র কয়েক পয়েন্ট এদিক-ওদিক হয়েছে। এটাকে দূরত্ব বলা চলে না।’

তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। এমবিএ টা সম্পন্ন করে বিসিএস দেবো। আশা করি সেখানেও আমরা ভালো করবো। বিসিএস’র মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা আছে। অথবা ব্যাংকার হতে চাই।’

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যমজ সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছে। এটা শুধু তাদের জন্য নয়; আমাদের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের বিষয়। আমি তাদের ভবিষ্যৎ জীবন আরো উজ্জ্বল ও সুন্দর হওয়ার কামনা করছি।’

প্রসঙ্গত, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার বাসিন্দা ডা. মীর সিরাজুল হক চৌধুরী এবং বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান একে এম ইকবাল বদরী ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরীর নাতনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।