১ মে, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

অনার্স ফাইনালে ২ যমজ বোনের অভাবনীয় সাফল্য

শাহেদ মিজান:
সদ্য প্রকাশিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স (বিবিএ) ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনী কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে দু’যমজ বোন। তারা হলেন, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম। সামিয়া তাবাস্সুমম সিজিপি-৩.৪৭ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান এবং তাহিয়া তারান্নুম সিজিপি-৩.৪১ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তারা এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেন। যমজ দু’বোনের এই অভাবনীয় ফলাফলে কক্সবাজার সরকার কলেজে ও তাদের পরিবারে এক খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম ২০১২-১৩ সেশনে কক্সবাজার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রখর মেবাধী এই যমজ দু’বোন পড়ালেখায়ও অনেকটা সমানে থাকে। দু’জনই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অনার্সেও প্রতিটি বর্ষে তারা ধারাবাহিক কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অব্যাহত রাখে। তবে অনার্সে দু’জনের একই গ্রেড না পেলেও পয়েন্ট রয়েছে অনেকটা কাছাকাছি।

সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার আধুনগরে। তাদের বাবা সৌদি-আরব প্রবাসী নেজাম উদ্দীন ও মাতা নাসরিন সিরাজ। তারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা দু’বোন যমজ হিসেবে সবকিছুতে দু’জনে এক রকম হতে চেষ্টা করি। আমাদের পোশাক থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলই বলতে গেলে অবিকল। শিক্ষা ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত দু’জন সমানে সমান ছিলাম। তাইতো ওই দু’পরীক্ষাতেই দু’জনেই জিপিএ-৫ অর্জন করেছিলাম। তবে অর্নাসের ফলাফলে মাত্র কয়েক পয়েন্ট এদিক-ওদিক হয়েছে। এটাকে দূরত্ব বলা চলে না।’

তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। এমবিএ টা সম্পন্ন করে বিসিএস দেবো। আশা করি সেখানেও আমরা ভালো করবো। বিসিএস’র মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা আছে। অথবা ব্যাংকার হতে চাই।’

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যমজ সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছে। এটা শুধু তাদের জন্য নয়; আমাদের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের বিষয়। আমি তাদের ভবিষ্যৎ জীবন আরো উজ্জ্বল ও সুন্দর হওয়ার কামনা করছি।’

প্রসঙ্গত, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার বাসিন্দা ডা. মীর সিরাজুল হক চৌধুরী এবং বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান একে এম ইকবাল বদরী ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরীর নাতনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।