২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

১৫ আগস্ট উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের শোকবার্তা

শোকবার্তা:

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস; বাংলার ইতিহাসের জঘন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী, যার জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না এবং আজো আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের নিগঢ়ে আবদ্ধ থাকতাম।

১৯৭৫ সালের এইদিনে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। আমি বিনম্র চিত্তে পরম করুণাময় আল্লাহ তা-আলার দরবারে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় সবসময় কাজ করত বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি বলতেন, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশী ভালবাসি”।

জাতির পিতার ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪’ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬’ এর ৬-দফা, ৬৯’ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো -কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য এ দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাঁকে পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের জাতির পিতাকেই শুধু হত্যা করেনি, তার সঙ্গে হত্যা করতে চেয়েছে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা, মুছে ফেলতে প্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। যে বিশাল হৃদয়ের মানুষকে কারাগারে বন্দি রেখেও স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, অথচ স্বাধীন বাংলার মাটিতেই তাকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। বস্তুত ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি।

জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ক্লান্তিহীন পরিশ্রম, দেশপ্রেম, সততা-নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসোপানে। স্বাধীনতার পর যেই বিশ্ব বলেছিল- বাংলাদেশ হবে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, আজ সেই বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- এই হোক শোক দিবসে আমাদের অঙ্গীকার। জয় বাংলা। কবি কামাল চৌধুরীর ভাষায়- …যেখানে ঘুমিয়ে আছ, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।