১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

হোটেল সী ক্রাউন থেকে ভূয়া কারাপরিদর্শক আটক

 

আবু সায়েম : কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ আখন্দের বিচক্ষণতায় হোটেল মোটেল জোনে কলাতলীর ডলপিন মোড়ে অবস্থিত হোটেল সী ক্রাউন থেকে ভূয়া কারাপরিদর্শক পরিচয়দানকারী দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত রিয়াদ বিন সেলিম ও শাহনাজ পারভীন মায়া সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা।

হোটেল সী- ক্রাউন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশীদ আখন্দ জানান, হোটেলে অবস্থানরত স্বামী স্ত্রী নিজেদের সিনিয়র কারাপরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দেন।এবং গত ২১ তারিখ তারা ওই হোটেলে উঠেন। হোটেলে অবস্থান করার পর থেকে খাবার দাবার সহ যাবতীয় কিছু বাকিতে ভোগ করছিলেন। নিয়ম মোতাবেক তাদের কাছ থেকে রুম ভাড়া আর খাবারের টাকা চাওয়া হলে তারা আজ দিবে কাল দিবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সময় দিতে থাকেন।

বজলুর রশীদ আখন্দ আরোও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে বিষয়টি জানালে তৎক্ষনাৎ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে যাই। পরবর্তীতে গভীর সন্দেহ হলে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে আসল পরিচয় জানতে চাইলে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। বিষয়টি আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইনকে অবগত করলে তিনি সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার ইয়াছিন কে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার ইয়াছিন জানান, স্বামী – স্ত্রী দুজনই সিনিয়র কারাপরিদর্শক হিসেবে ভূয়া পরিচয় প্রদান করে উক্ত হোটেলে ১৩ দিন যাবত অবস্থান করছেন। বিষয়টি খুবই জটিল। কারণ চট্টগ্রামে স্থায়ী বাসিন্দা হলে কক্সবাজারে কোন কাজ ছাড়া ১৩ দিন থাকা অস্বাভাবিক। এর পেছনে মাদকের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে বলে তিনি মনে করেন। হয়তো কোন মাদকের চালান নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা এতোদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলো।

তিনি আরো জানান, আটককৃত রিয়াদ বিন সেলিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানায় ধর্ষণ ও অপহরনের মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।