১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

সাংবাদিককে মামলা দিলেই পুলিশকে আব্বা ডাকে! – এসআই মোবারক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘৫০০ টাকার মামলা দিলে সাংবাদিকরা আব্বা ডাকে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন উখিয়া থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ হোসনে মোবারক।

রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে ” Md Honse Mobarak (Juel) ” নামে ফেসবুকে থাকা নিজের একাউন্ট থেকে মোবারক তার দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে লিখেন ” যাচাই বাছাই ছাড়া নিউজের নামে চরিত্র হননের যে চেষ্টা, তা বন্ধ হোক। আমি/আপনি সচেতন না হলে, পরের বার আমরাই ভিকটিম হবো।”

ঐ স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে তার এক ফেসবুক অনুসারীর করা মন্তব্যের ফিরতি জবাবে মোবারক সাংবাদিক বিশেষণের আগে ” বা*ছা* “এর মতো অশালীন ও দৃষ্টিকটু শব্দ জুড়ে দিয়ে দাবী করেন- ” অই বা*ছা* সাংবাদিককে ৫০০৮ এর মামলা দিতে গেলেই আব্বা ডাকে। যারা জাত এর সাংবাদিক তারা আউল ফাউল লিখে না।”

স্ট্যাটাসে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি মুসলিম উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মী প্রতিবাদমূলক মন্তব্য করলে নিজের টাইমলাইন থেকে পোস্টটি মুছে ফেলেন মোবারক।

পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশাকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোবারকের এই মন্তব্য কতটুকু যুক্তিযোগ্য? – এমন প্রশ্নের উত্তর দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

জবাবে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ” এটি পেশাদারিত্বমূলক আচরণ নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার আগে তার সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত ছিলো। একটি পেশায় নিয়োজিত থেকে আরেকটি পেশাকে তিনি হেয়প্রতিপন্ন করতে পারেন না।”

বিষয়টি অবগত হওয়ার পর মোবারকের কাছে কেন ‘তিনি এই আচরণ করেছেন?’ তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তা জানান, ” মোবারকের কাছে এমন অশোভনীয় মন্তব্য করার কারণ দর্শানো হয়েছে। তিনি যদি গ্রহণযোগ্য উত্তর না দেন তাহলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”

এদিকে মোবারকের এমন নেতিবাচক মনোভাব বিস্মিত করেছে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের। রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শরীফ আজাদ বলেন, ” সব পেশায় ভালো খারাপ থাকে, তাই বলে সবাই একরকম নয়। কিন্তু সাংবাদিকতার মতো পেশা নিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার অযাচিত মন্তব্য! তাও আবার দাম্ভিকতার পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে ফেসবুকে করা হয়েছ, সত্যিই কষ্টদায়ক।”

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন কুমিল্লার বাসিন্দা মোবারক এবং গত বছরের জুনে উখিয়ায় তার পদায়ন হয়।

মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে মোবারকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।