১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

শিক্ষার অগ্রগতি ধরে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

shike-hasina.4jpg শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সব শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সভায় শিক্ষার অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, প্রাথমিকে ভর্তির হার বেড়েছে। একই সঙ্গে কমে এসেছে ঝরে পড়ার হারও।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

শামীম চৌধুরী জানান, বর্তমানে প্রাথমিকে ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৭ যা ২০০৯ সালে ছিলো ৯৩ দশমিক ৯। অন্যদিকে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ২০ দশমিক ৯ যা ২০০৯ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ১।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, জাতীয় শিক্ষানীতির অনুমোদন, ২৬ হাজার ১৯৩ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা, ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষককের চাকরি সরকারিকরণসহ নতুন করে ১ লক্ষের অধিক শিক্ষক নিয়োগের ফলে।’

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি ও সেনিটেশন ব্যবস্থান উন্নয়ন, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য আলাদা সেনিটেশন ব্যবস্থা ছেলেমেয়েদের ভর্তি বাড়ার কারণ হিসেবে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।

ঝরে পড়া কমে আসার ক্ষেত্রে মিড ডে মিল ব্যবস্থার সুফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটিকে অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে মিড ডে মিলে খাবারের ধরন স্থানীয়ভাবে নির্ধারণ করার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে এ জন্য ফান্ড তৈরি করতে হবে।’

এদিকে পার্বত্য এলাকার স্কুলগুলো অনেক দূরে দূরে হওয়ায় সেখানকার ১০টি স্কুলকে ইতিমধ্যে আবাসিক করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য স্কুলগুলোকেও আবাসিক করা হবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাস্কফোর্সের উপদেষ্টা শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহদুর উ শৈ সিং সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।