২০ অক্টোবর, ২০২৫ | ৪ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৭ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

মাদকে নির্মলের ভাগ্য বদল, দুদকের মামলা

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার দক্ষিণ হ্নীলা বাজার পাড়ার মৃত ফকির চন্দ্র ধরের পুত্র নির্মল ধর (৬৬)।  এলাকায় তার নিজ ভিটে বাড়ি হলেও তিনি বসবাস করছেন কক্সবাজার সদর এলাকায় একটি ছয়তলা বাড়িতে। দীর্ঘদিন সময় ধরে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বানিয়েছেন কোটি টাকার সম্পদ।

অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের উপ সহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত নির্মল ধর বর্তমানে কক্সবাজার সদর থানার ঘোনারপাড়ায় এলাকায় বসবাস করছেন।

দুদকের মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রাপ্ত অনুসন্ধানে ভিত্তিতে আসামি নির্মল ধরের (৬৬) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে দুদক কমিশন। পরে এ আদেশটি আসামীকে বর্ণিত ঠিকানায় না পেয়ে বিনা জারিতে ফেরত আসে দুদক অফিসে।

২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আসামি নির্মল ধরের প্রতি সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বাড়ির পাশে ঝুলিয়ে দেয় দুদক। পরবর্তীতে ওই আদেশের প্রক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবরে তিনি সম্পদ বিবরণী ফরমপূরন করে দাখিল করে দুদকে। তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে শুধুমাত্র ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেয় নির্মল ধর। সেখানে অনুসন্ধানে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ১ কোটি ৩২ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগ দখল থাকার সত্যতা পেয়েছে দুদক।

এ ঘটনায় আসামি নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।