২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

ব্যবসায়ী পিতার মুক্তি চেয়ে স্কুল ছাত্রের আকুতি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের শহরের ব্যবসায়ী পিতার মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আকুতি জানিয়েছেন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম রাফি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে শরিফুল ইসলাম রাফি জানান, তার পিতা শহীদুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের আইবিপি রোডের একটি ব্যবসায়ী। যেখানে তার পিতা ছাড়াও আরও ৪ জন ব্যবাসায়ী দোকান করে ব্যবসা পরিচালনা করেন। বর্তমানে চাঁদাবাজীর অভিযোগে গোপনে দায়ের করা একটি মামলায় কারাগারে আসেন তার পিতা। একই মামলায় কারাগারে রয়েছেন তার চাচাত ভাই ও একই স্থানের ব্যবসায়ী মোস্তফা মহসীন।
তিনি বলেন, এস্থানে তার শহীদুল ইসলাম, চাচাত ভাই মোস্তফা মহসীন, ছাড়াও আবছার, কামাল ও সাধুন বড়ুয়া নামের ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। এ দোকান সমুহ কক্সবাজারের ডা. নুরুল আজিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দীর্ঘ ৫০ বছর আগে ভাড়া নেয়া। চাচার মৃত্যুর পর একটি দোকান তার পিতা শহীদুল ইসলাম, অপর চাচার মৃত্যু পর চাচাত ভাই মোস্তফা মহসীন ধারাবাহিকভাবে দোকান করে ব্যবসা করে আসছেন। একই সঙ্গে ডা. নুরুল আজিম এর মৃত্যুর পর তাঁর সন্তান মাহবুল আজিম খুলু দোকানের ভাড়া নিয়ে আসছেন। এরপর কিছু দিন মাহবুল আজিম খুলুর ভাই আনোয়ারুল আজিমও দোকানের ভাড়া আদায় করেছেন। কিন্তু মধ্যখানে ভাড়া গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করায় সকল ব্যবসায়ীরা আদালতে ভাড়া প্রদান করছেন। এ দোকানের জমি নিয়ে বর্তমানে মাহবুল আজিম খুলু আদালতে মামলা করেছেন। পিতৃ সম্পদ পাওয়া জন্য এই মামলাটি দায়ের করেন (যার অপর মামলা নং ২০৪৬/২০২১)। একই সঙ্গে দখল-বেদখল রোধে আদালতে এ দোকানের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জৈনক মোর্শেদ ফরাজী নামের এক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে দোকান উচ্ছেদ করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এর জন্য কয়েকবার চেষ্টাও চালানো হয়। এতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করায় আদালতে একটি মামলা করে মামলায় নোটিশ গোপন করে পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিবেদন দাখিলও করে। অজান্তে দায়ের করা মামলায় পুলিশ তার বাবা ও চাচাত ভাইকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদের জমিনের জন্য আইনগত প্রচেষ্টা চলছে।
এর মধ্যে আদালতে ১৪৪ ধারা অমান্য করে দোকান উচ্ছেদ করার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে মোর্শেদ ফরাজী। একই সঙ্গে আরো মামলা করে হয়রানী সহ নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতংকিত রয়েছে উল্লেখ করে ন্যায় বিচার চেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জমির মালিকদের কেউ কোন কথা বলতে রাজী হননি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।