৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৬ পৌষ, ১৪৩২ | ১০ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আ.লীগের বদি’র ক্যাশিয়ার দশবছর পর ফিরলেন বিএনপিতে   ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর

বাইশারীতে হাতের নাগালে সর্বনাশা ইয়াবা

Yaba-2
মাদকের ভয়াল থাবায় বাইশারীর যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। যারা কখনো মাদক নামের সর্বনাশা ইয়াবার নাম শুনেনি তারাই আজ ইয়াবা সেবক এবং বিক্রেতা। মাদকের অবৈধ ব্যবসার কারণে বাইশারী-ঈদগড়ের অধিকাংশ যুবক তাদের সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা, স্বাংস্কৃতি বিসর্জন দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটনা। নেশার ছোবলে তিলে তিলে অনেক সম্ভাবনাময় যুবক তার জীবনকে করছে ক্ষত-বিক্ষত।
সুত্রে জানা যায়, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে বাইশারী-ঈদগড়ে এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত ব্যবসায়ী। যার কারণে দুই ইউনিয়নে এখন ইয়াবা সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণ ঘাতক ট্যবলেট ইয়াবা। ফলে দিন দিন আসক্ত হয়ে বিপদগামী হচ্ছে এলাকার তরুন যুবকরা।
ঈগড় ইউনিয়নের কয়েকজন প্রভাবশালী যুবক ইয়াবা এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খোলা বাজারে সরবরাহ করে নেশা আসক্তের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। বলতে গেলে এখন ঈদগড় ও বাইশারী বাজারে ছন্দবেশে মুখোশধারী চিহ্নিত কিছু যুবক ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। ইয়াবার এ সহজলভ্যতার কারণে এলাকা সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তি বলেন, সিএনজির মাধ্যমে রাতেই এসব মাদক দ্রব্য পাচার হয়। অনেকবার প্রশাসনকে বললেও প্রশাসন তাদের আটকের ব্যাপারে আগ্রহ নয়। আবার আটক করলেও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। তাই দিন দিন এসব মাদক দ্রব্য পাচারকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তাছাড়া ঈদগড় এলাকা থেকে একটি সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত বাইশারীতে ইয়াবা নিয়ে আসছে বলেও তিনি জানান। কতিপয় উঠতি যুবক প্রশাসনের নাকের ডগায় তা ব্যবহার সহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার ঈদগড় ও গর্জনীয়া বড়বিলের কিছু উশৃঙ্খল যুবক প্রতিনিয়ত বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও রোড় ও বাইশারী-গর্জনীয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক দিয়ে সোজা কক্সবাজারে মাদক প্রেরণ করে থাকেন। আবার প্রতিনিয়ত বাইশারী ও ঈদগড়ে প্রবেশ করছে সর্বনাসা মাদক নামের সেই ইয়াবাও। এসব মাদক দ্রব্য পাচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে কয়েকটি চিহ্নিত সিএনজি ও কয়েকটি ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল। কয়েকজন উশৃঙ্খল যুবকের মাধ্যমে দিন দিন এসব মাদক দ্রব্য পাচার ও আমদানী বেড়েই চলছে। ঈদগড়ে বসে প্রভাবশালী কয়েকজন লোক সিন্ডিকেট দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ ব্যবসা।
রাতকেই মাদক দ্রব্য পাচারের অন্যতম পথ হিসাবে চিহ্নিত করে মাদকপাচারকারীরা। অন্য দিকে উপজাতীয় নারীদের সাথে বন্ধুত্ব করে প্রতিনিয়ত কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে মদ, গাজা থেকে শুরু করে ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্ভিগ্নে। বিগত দিনে এসব উপজাতীয় নারীরা প্রশাসনের হাতে আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো মাদক দ্রব্য পাচারে জড়িয়ে যাচ্ছে।
এসব মাদক পাচার ও সর্বনাশা ইয়াবার বিস্তারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্থপেক্ষপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।