২ অক্টোবর, ২০২৩ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ | ১৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  সদর মডেল থানার নবাগত ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ   ●  কক্সবাজারে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চ্যানেল আই এর বর্ষপূর্তি উদযাপন   ●  ফেভারিট চকরিয়া কে হারিয়ে মহেশখালী চ্যাম্পিয়ন   ●  মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভিটেমাটি দিয়েও চাকুরির প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি   ●  উখিয়ার হলদিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সিকদারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত   ●  সেন্টমার্টিনের উপর পর্যটন নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিলেন এমপি আশেক   ●  কক্সবাজারে ডিএনসির অভিযান ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার, প্রাইভেটকার জব্দ   ●  বিট কর্মকর্তা জহিরুলের সফল অস্ত্রোপচার, এখনো জ্ঞান ফিরেনি   ●  রামুতে দখলবাজদের হামলার ঘটনায় মামলা, শঙ্কামুক্ত নয় জহিরুল   ●  সাবেক এমপি এড. খালেকুজ্জামানের ২৩ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ

বাংলাদেশিদের জন্য আবার বন্ধ কুয়েতের শ্রমবাজার

বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জারাহ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি আদেশ জারি করেছেন। এ নির্দেশ মানার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েতের দৈনিক আল জারেদার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। দৈনিক আল জারেদাকে উদ্ধৃত করে আজ সোমবার এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই দৈনিকের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বাংলাদেশিদের ‘রেসিডেন্সি পারমিটের’ সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। পাশাপাশি নানা ধরনের অনিয়ম এবং কর্মক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত নানা ধরনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে এ প্রতিবেদন অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলেও বলা হচ্ছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর এক তথ্যমতে, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে শুরু করে কুয়েত। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক নিয়েছে উপসাগরীয় দেশ কুয়েত। ২০০৭ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় কুয়েত। নিয়োগে অনিয়ম এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে কুয়েত ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই দেশটিতে আবার কাজের সুযোগ মেলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের। কিন্তু ২০১৬ সালের মে মাসে অনিয়মসংক্রান্ত নানান অভিযোগ পায় দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের এ প্রতিবেদন থেকে। এরপরই পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কুয়েত সরকার। ২০১৬ সালে কুয়েতে দুই লাখ বাংলাদেশি ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।