১৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত

প্রয়াত প্রফেসর সাইফুদ্দিন পুত্র মুশফিক গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুশফিকুর রহমান অসময়েই হারিয়েছেন পিতাকে। জেএসসি পরীক্ষাচলাকীন সময়ে হঠাৎ শিক্ষক পিতা প্রফেসর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে আল্লাহ পরপারের বাসিন্দা করেন। কিন্তু কঠিন সময়ে বাবাকে হারিয়ে সৃষ্টি হওয়া শুণ্যতা দমাতে পারেনি মশিফিককে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মুশফিক।
মুশফিকুর রহমান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল হতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৩০০ নাম্বারে ১২২৭ নাম্বার পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার শাহারবিল মাইজঘোনা এলাকার বাসিন্দা ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান তার বাবাকে হারান ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট। তখন তিনি (মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন) চট্টগ্রাম সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এদিন ভোরে হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’ছেলে দু’মেয়েসজ পরিবারকে অসহায় করে পরপারের বাসিন্দা হন। বাবাকে হারানোর বছরই (২০১৬) মুশফিক চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫সহ বৃত্তি পেয়ে জেএসসি পাশ করে। আর এবার চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে এ-প্লাস নিয়ে ১২২৭ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৩ সালে কক্সবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫সহ বৃত্তি নিয়ে পিএসসি পাশ করে মুশফিক। মুশফিকের দাদা মাস্টার জিন্নাত আলী মাইজঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তার (মুশফিকের) বড় বোন জান্নাতুল মাওয়া জেরিন ২০১৭ সালে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে এবার চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছোট বোন তানহা তাজরিয়া ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আর সবার ছোট মশিউর রহমান আরাফ চট্টগ্রাম বাকলিয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মুশফিকুর রহমান বলে, বাবা অন্য শিক্ষার্থীদের মতো আমাদেরও শিক্ষক এবং পথ প্রদর্শক ছিলেন। কিন্তু অসময়ে তাকে আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। চারপাশ এখন বড় শূণ্য লাগে। বাবা মারাযাবার পর আমার মা এশরাক জাহান জেসমিন আমাদের গতি যেন স্লত না হয় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাবার শুন্যতার মাঝে মায়ের সেই প্রচেষ্ঠার ফসল আমার গোল্ডেন জিপিএ-৫। মায়ের কামনা বাবার যোগ্য উত্তরসূরী হয়ে উঠা। এ সফলতার জন্য সবার দোয়া চাচ্ছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।