১৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ মিললো পুকুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিখোঁজের ১৩দিন পর কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের মরদেহ তার নিজ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের  কর্মীরা  শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে  পরে থানায় নিয়ে আসি। এরপর  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে শিক্ষকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ জানান, গত মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর  রাত ৯টার দিকে তাঁর বড় ভাই পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান করেছিল বলে বিভিন্নজনে তাদেরকে জানান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে এবং মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ না পাওয়ায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাও দায়ের করা হয়। আজ বিকালে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় থেকে তার বড় ভাই এর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জানা যায়, শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের মরহুম মাস্টার বজল আহমদের ছেলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অহরণের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তার পরিবার থেকে  মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর পিতা রমিজ আহমদের বসতবাড়ি দুইটি দ্বিতল ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। পরে চৌমুহনীস্থ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজমগীর এর  মালিকানাধীন মার্কেটের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট চালানো হয়েছে বলে জানাগেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।