১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের রামুর পানেরছড়ায় চলছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা চরম আকারে বেড়ে গেছে। চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন করে জায়গায় ভরাট ও গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি ও গাছ অবৈধ ভাবে কেটে ডাম্পার যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে।
এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে রামুর পানেরছড়ার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে পাহাড় কেটে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, স্থানীয় বন বিভাগকে ম্যানেজ করে বিশাল আকারে উঁচু পাহাড় কেটে মাটি ডাম্পার ভর্তি করে পাচার করছে দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইল্যাতলী এলাকার
মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ ভুট্টো,
মৃত মোহাম্মদ হোসন এর ছেলে মোক্তার আহমদ,মৃত শরবত আলীর ছেলে মনির আহমদ প্রকাশ মনিয়া।

স্হানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের অভিযান তৎপরতা না থাকায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কেটে মাটি, বালি ও গাছ পাচার করছে। ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ও গাছ ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জায়গা ভরাট করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর এক পাহাড় কর্তন ও বনায়নের গাছ কেটে যাচ্ছে। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেন দেখার কেউ নেই।

স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় ও বনায়ন গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন ও গাছ কাটা বন্ধের জন্য দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত বলেন,পাহাড় কাটা ও গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।ইতিমধ্যে পাহাড় কাটা ও গাছ কাটায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়ছে।এসব অপরাধে যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন,খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।আমরা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।