৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পর্যটককে মারধর, যা বললেন ট্যুরিস্ট পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ’ করায় নাজমুল হাসান নামে এক পর্যটককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকালে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চল।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম দাবি করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে সুগন্ধা পয়েন্টের বিচ হতে মোটরসাইকেলসহ একজন পর্যটককে  ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসে এনে মারধর করেছে মর্মে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে জানার পর  বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়  কুমিল্লা থেকে মোটরসাইকেলে দুইজন পর্যটক আসে, তাদের একজনের গায়ে লাল গেঞ্জি ও একজনের গায়ে কাল গেঞ্জি পরা ছিল। তারা ভোর  ৭ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট দিয়ে বিচে নামে। সেখানে দায়িত্বরত এস আই আমজাদ তাকে প্রথমে মোটরসাইকেল নিয়ে বিচে প্রবেশে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে উনারা না শুনে কর্তব্যরত অফিসারের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তাকে মোটরসাইকেলসহ ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসে আনা হয়। এবং তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চাওয়া হয়। মোটরসাইকেল চালক হোটেলে যায় এববগ কাগজপত্র এনে দেখালে তাদের প্রথমবারের মত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। আমাদের অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে মারধর এমনকি তার সাথে অসৌজন্যমূলক কোন আচরণের প্রমাণ মেলেনাই। সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিটে তাকে আমাদের অফিসে আনা হয় এবং সে কাগজপত্র আনার জন্য ৮ঃ০৫ এ বেরিয়ে যায়, ৮ঃ৪৫ এ উনি কাগজ নিয়ে আসলে তার কাগজ চেক করে ৯ঃ১৫ তে তাকে প্রথমবারের মত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পুরো ঘটনার সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য কর্তৃক পর্যটককে মারধরের কোন বিষয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায় নাই। অফিসের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ আছে যে কেউ দেখতে চাইলে দেখানো যাবে। পর্যটনের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করে সত্যটি তুলে ধরার জন্য প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানানো হল।
উল্লেখ্য আমাদের কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয় নাই বা জেলা প্রশাসন হতে আমাদের কিছু জানানো হয় নাই, আমরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরে স্ব প্রনোদিত হয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সাথে তদন্ত চালাচ্ছি। ঘটনার স্বীকার পর্যটকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার,  পর্যটক হয়রানির সাথেই যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধেই কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।