নিচে খোলাচিঠি টি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমি জানিনা আমার লিখাটা প্রিয় নেত্রীর কাছে পৌছাঁবে কিনা।।
১০ /০৯/২০১৯
বরাবরে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়ঃআপনি আমাদের কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া পুরণ করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন।
প্রিয় নেত্রী,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি বিশ্বের পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলার অন্তরভূক্ত উখিয়া উপজেলার একজন নাগরিক।আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন মুজিব আর্দশের কর্মী।আমি আপনাকে আমার মাতৃভূমি কক্সবাজার জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কষ্টের কথা তুলে ধরতে চাই। আগামী ২০ /০৯/২০১৯ ইংরেজি তারিখে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সন্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি /সম্পাদক। উক্ত সন্মেলনকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের পদ – প্রত্যাশীদের প্রচারণা চালাচ্ছে নানার ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমাদের এই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ওপর আইন চলে বিধায় নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।আমি, আমরা সবাই জানি সবাই কিন্তু সভাপতি / সম্পাদক হতে পারবে না।তাদের মধ্যে থেকে বাচাই করে যারা সঠিক ও নির্ভেজাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্বস্ত নিঃস্বার্থ কর্মী এবং আপনার জন্য, দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য, সোনার বাংলা গড়ার যে ছাত্র নেতা সংগ্রাম করেছে করবে তাদের কে মুল্যায়ন করার জন্য আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ রইল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রব্বানীর সাথে কথোপকথনের সময়।
আপনার নির্দেশে হয়ত আমাদের মত লাখো অসহায় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়াটা পএরণ হবে বলে আশা রাখতে পারি। আমি, আমরা যারা আওয়ামীলীগ
পরিবারের দুঃসময়ের নিযার্তিত, নিপীড়িত এতিম শিশুদের স্বপ্নটা হয়ত আপনি ছাড়া আর কেউ সু- দৃষ্টি দিয়ে দেখবে না।কারণ বর্তমান সময়ের রাজনীতি সম্পর্কে কিছু বলার মত আমার ভাষা নেই।যেদিকে যায়, সেই দিকে শুধু দেখতে পাই মীর জাফর ও বিএনপি জামায়াতের পরিবার থেকে জন্ম নেওয়া ছেলে – মেয়েরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে বড় বড় পোস্ট পদবীতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে তারা তাদের মত করে সংগঠনের মান খুন্ন করতেছে এবং তাদের প্রতিহিংসা,স্বজন প্রীতি করার কারণে আমার মত হাজার হাজার আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানেরা ছাত্র রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছে এবং আসতেছে।
এইসব রাজনৈতিক দুর্বলতা আপনি ছাড়া আর কেউ দুর করবে না ।
মাননীয় নেত্রী আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ দেখিনি তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়েছি যে ইতিহাস আমরা বাঙ্গালী জাতি কখনো ভুলার মত নয়। আমরা হয়ত ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের মত রাতকে দেখেনি তবে এই রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করার ইতিহাস আমরা পড়েছি এবং পড়ি।কিন্তু আমরা দেখেছি ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা যে হামলা টা করা হয়েছিল প্রিয়নেত্রী আপনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। যে হামলার সাথে জড়িত ছিল বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের মতো খু- খ্যাত সন্ত্রাসীরা। প্রিয় নেত্রী আজ আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া দিনগুলো কথা আমরা কিভাবে ভুলব?

চট্টগ্রাম মহানগরের মেয়রের সাথে ছাত্রনেতা আনোয়ার
ঐ দিনের হামলা কারীর সন্তানেরা নাকি আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ত্যাগী নেতা। কি করে হতে পারল সেই বঙ্গবন্ধুসহ আরো লাখো আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের খুনীদের ছেলে কিভাবে আজ ছাত্রলীগের নেতা- কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে?
এই সব দিনগুলো আমাদের মত আওয়ামীলীগের পরিবারের দুঃসময়ের সন্তানদের অজস্র কাঁদায়। কারণ আমাদের সম্পর্ক বাংলার প্রতিটি নিযার্তিত অসহায় মানুষের আত্মার সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ০৭ ই মার্চের ভাষণের মুলধারায় সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্ক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে আত্মার সম্পর্ক।
আজ আমাদের এই স্বপ্ন, আশা, ভালবাসা, শ্রদ্ধা সবকিছুর পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে কিছু অল্প সংখ্যক বিএনপি জামায়াতের পরিবার থেকে গড়ে ওড়া ছাত্রলীগ নেতাদের কারণে।
আজ বর্তমান ছাত্ররাজনীতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি- আদর্শ বলতে কি আছে?
মীর জাফর ও জামায়েত শিবিরের রাজাকারের বাচ্চারা ও যদি ছাত্রলীগ কর্মী বলে পরিচয় দিতে পারে তাহলে আর বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে নীতি – আদর্শ বলতে কি আছে?
মাননীয় নেত্রী আগামী কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ও যেন এই রকম কোনো বিএনপি জামায়াতের ছেলেদের আশ্রয় দেয় ও বড় বড় পোস্ট পদবীতে এনে নেতা বানিয়ে দেয় সেই রকম কোনো ছাত্রনেতাদের কে আমাদের অভিভাবক হিসেবে মনোনীত না করার অনুরোধ রইল আপনার কাছে।ছাত্ররাজনীতি হল একজন মানুষের রাজনীতির প্রথম ধাপ বা স্তর যে ছাত্র নেতা এই প্রথম স্তর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জন- সাধারণের প্রতি মানবতা দেখাবে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। আওয়ামীলীগ সরকারের জন্য প্রিয় নেত্রী আপনার জন্য দেশবাসীর সুখের জন্য নিজের জীবনকে উৎর্সগ করতে পারবে আমি মনে করি তখনই তিনি হবেন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন আদর্শবান বিশ্বস্ত কর্মী।
মাননীয় নেত্রী আমরা অনেক অসহায় হয়ে আছি, আগামীর কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে। আমাদের মত তৃণমূলের আওয়ামীলীগ পরিবারের অসহায় নেতাকর্মীদের একটা আশা পুরণ হবে কিনা তা নিয়ে।আমরা নতুন প্রজন্মের আপনার কাছে একটাই অনুরোধ আগামীর কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে একজন আমাদের বিপদের বন্ধু, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার সুবক্তা এবং জামায়েত শিবিরের বিতাড়িত করার সাহসী ছাত্রনেতা। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি আলী আহম্মেদ ভাইয়ের স্নেহময় ছোট ভাই তৃণমূল পর্যায় থেকে পিতা মুজিবের আদর্শের ওপর গড়া ওড়া ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসাইন ভাইকে আমাদের কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাই হাজারো নিযার্তিত তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ।
মাননীয় নেত্রী অনেক বার আনোয়ারের মত ছাত্রনেতাকে জামায়েত শিবির এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল এবং বহুবার নিযার্তিত হয়েছিল।হে মা জননী আপনিই যদি আমাদের মত নিযার্তিত, নিপীড়িত আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানদের কথা না রাখেন তাহলে মহান আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর এই চাওয়া পুরণ করার আর কেউ নাই। তবে আপনার মত নেত্রীর ওপর আমরা অসহায় এতিম ছাত্রদের পুরো বিশ্বাস ও আস্থা ছিল আছে বলে এই অাবেদন টা পেশ করলাম।প্রিয় নেত্রী আমাদের চাওয়া টা একমাত্র অাপনার একটা নির্দেশে সফল হবে। সফল হবে কক্সাবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিটের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া।সফল হবে কক্সবাজার জেলার অসহায় হাজরো অাওয়ামী পরিবারের মায়ের মোনাজাতের কান্না।
প্রিয়নেত্রী আনোয়ার হোসাইন ভাই ছাত্র রাজনীতি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে। আনোয়ার হোসাইন ভাই রাজনীতি করে আপনার আদর্শের একজন বিশ্বস্ত ভ্যাণগার্ড হয়ে আপনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে। আনোয়ার হোসাইন ভাই রাজনীতি করেন জঙ্গিবাদ ও গুজব ছড়ানো কারীদের ধ্বংস করার জন্য । আনোয়ার হোসাইন তার জীবন দিয়ে হলে ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখে যাওয়া স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে নিজ মাতৃভূমি কে রক্ষা করবে স্বাধীনতা বিরুদ্ধীদের হাত থেকে
ইনশাআল্লাহ।।
অতএব,মাননীয় নেত্রী ,হে মা জননী আপনি এই দেশের ১৬ কোটি মানুষের অভিবাবক আপনি চাইলে সমাধান দিতে পারবেন।এই কক্সবাজার জেলার প্রতিটি ইউনিটের তৃণমুলের অসহায়, নিযার্তিত, নিপীড়িত ছাত্র- ছাত্রীদের আশা আপনার একটি নির্দেশে।পরিশেষে নেত্রী আপনার সুস্থতা কামনা করি এবং আপনি আমাদের কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে একটি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভালবাসার কমিটি হিসেবে উপহার দেওয়ার নির্দেশ দেবেন বলে অাশা রাখলাম।”
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।