১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

ট্রলারের পাখা ভেঙ্গে সাগরে ৫ দিন ভাসমান ১৯ জেলে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাগরে ৫ দিন ধরে ভাসছিল ট্রলার, আশপাশে ছিলো না অন্য কোন ট্রলার। ছিল না মোবাইল নের্টওয়াকও। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্দিক্ষণে পড়া ভোলা মনপুরা এলাকার ১৯ জেলেকে শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৩ নটিক্যাল দূরে গভীর সাগর থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

ট্রলারটিতে জিপিএস ডিভাইস না থাকায় অবস্থান শনাক্তের পাশাপাশি ২৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে ট্রলারসহ ১৯ জনকে কক্সবাজার উপকূলে আনার পর কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লে. কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উদ্ধারে নামে কোস্টগার্ড স্টেশন কক্সবাজার ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল দল। কিন্তু ট্রলারটিতে জিপিএস ডিভাইস না থাকায় অবস্থান শনাক্ত করতে করা যাচ্ছিল না। পরে সমুদ্র প্রহরায় নিয়োজিত কোস্টগার্ড জাহাজ মনসুর আলী’র সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরপর কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ২৩ নটিক্যাল মাইল দূরে গভীর সাগর থেকে ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

লে. কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদ আরও বলেন, প্রায় ২৮ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ট্রলারসহ ১৯ জন জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার সরবরাহ করা হয়। ফিশিং ট্রলার মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং জেলেদের মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে ১৯ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এফবি “সজীব-১” নামক একটি ফিশিং ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে। একপর্যায়ে মাছ ধরতে ধরতে গত ২৫ এপ্রিল ট্রলারটি পাখা ভেঙ্গে সাগরজলে পড়ে। এরপর থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রনহীনভাবে গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকে। বলে জানিয়েছেন, ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ জসিম।

তিনি বলেন, চারদিকে পানি আর পানি, গভীর সাগর থেকে দেখা যাচ্ছে না কূল-কিনারা। ছিলো না অন্য কোন মাছ ধরার ট্রলার। নেই মোবাইলের নের্টওয়াকও। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারের পাখা ভেঙ্গে পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে ৫ দিন ধরে ট্রলারসহ আমরা ১৯ জন জেলে গভীর সাগরে ভাসতে থাকি। হোঁট করে ৫ দিন পর ভাসতে ভাসতে মোবাইল নের্টওয়াকের আওতায় আসি। এরপর ৯৯৯ কল দিয়ে জীবন বাঁচাতে আকুতি জানায়। পরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।