১ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

টেকনাফে অবাধ বিচরণে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা !

হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ ::টেকনাফে ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও লোকালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মানবিক সহায়তা এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরাপদে রয়েছে। এসব ক্যাম্প অরক্ষিত ও লোকালয়ের নিকট হওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন এখন মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আর রোহিঙ্গারা শ্রম বাজার দখলে নেওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে পড়ছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়া-জাদিমোরা, নয়াপাড়া-মোছনী, লেদা, আলীখালী, হোয়াইক্যং পুটিবনিয়া, চাকমারকূল এবং উপকূলীয় বাহারছড়া শাপলাপুর ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পার্শ্ববর্তী লোকালয়ের ভাড়াবাসা ও পরিচিত জনের বাসায় আড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সরকারী-বেসরকারী ও আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
এসব ক্যাম্প সমুহে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত তদারকি করায় অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে স্থানীয় শ্রম বাজার রোহিঙ্গারা দখলে নেওয়ায় স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়ে।

কিন্তু এসব ক্যাম্প সমুহের চারপাশে কাটাঁ তারের বেড়া নেই। ফলে রোহিঙ্গারা যখন ইচ্ছে তখন যেখানে-সেখানে গিয়ে নানা অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে উগ্রপন্থী সংগঠনের সদস্যদের যোগ-সাজশে মাদক চোরাচালানী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী হয়ে বিশৃংখলার চেষ্টা চালায়। এই অশুভ চক্রের কারণে বিভিন্ন ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু‘পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি,অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় নিয়ে অনেক তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক মাদক কারবারী ও অবৈধ অস্ত্রধারীরা অসহায় হয়ে পড়ে। এসব অপরাধী চক্রের বেশ কয়েকটি গ্রুপ পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে নানা অপতৎরতা চালাচ্ছে।
বিগত ৬ মাসে নিজেদের অর্ন্তদ্বন্দ এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে ১০-১২জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর হওয়ায় ক্রমশ স্বস্তি ফিরতে শুরু করে এসব ক্যাম্প সমুহে। উক্ত বিষয়ে ক্যাম্পে নিয়োজিত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জানায়,রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক মাদক কারবারী, অস্ত্রধারী ও অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
এই বিষয়ে হ্নীলা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, অত্র ইউনিয়নে ৪টি বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। কিন্তু এসব ক্যাম্পে দেওয়াল বা কাঁটা তারের বেড়া না থাকায় তারা সহজে বের হয়ে কাজ-কর্ম থেকে শুরু করে যা ইচ্ছে করে বেড়ায়। তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, আমরা দুই ইউনিয়ন একই দূর্ভোগ আর ভোগান্তিতে রয়েছি। উক্ত বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান বলেন,৭টি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা খাদ্য, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তায় নিরাপদে রয়েছে। তাদের যাবতীয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোরভাবে কাজ করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাদের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।