৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৫ পৌষ, ১৪৩২ | ৯ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উত্তাল কক্সবাজার সমুদ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজারে সারাদিন গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। আবহাওয়‍া অধিদপ্তর সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘণিভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ভারতের উড়িশ্যা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘন্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকলেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাক‍ায় বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়‍া বইয়ে যাচ্ছিল। জেলা প্রশাসন সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে সতর্ক করে বালিয়াড়িতে লাল পতাকা উচিয়ে দিয়েছে। সৈকতের জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের সতর্কতা সংকেত জারির কথা জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছে।
কক্সবাজার,হিমছড়ি,ইনানী,পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকত পর্যন্ত ঘুরে আসার তথ্য জানিয়ে জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন,‘সবখানেই পর্যটকের পদচারণায় মুখর। এখনও পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি।
বিকেলে শহরের লাবণী পয়েন্ট সৈকতে কিটকটে(চেয়ার-ছাতা) বসে সাগর উপভোগ করেছিলেন ঢাকার বাড্ডা থেকে আসা পর্যটক একরামুল হক। তিনি বলেন,ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঢেউয়ের গর্জন ও আচড়ে পড়ার দৃশ্য ভালো লাগে। তাঁর মতো অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর উপভোগ করছেন। আবার কেউ কেউ সৈকতের হাঁটু পানিতেও নেমে পড়ছেন। এতে বিচকর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায়। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে,সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হলে উপকূলের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি শুরু হবে।
কক্সবাজার সৈকতে দায়িত্বরত সী সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র কর্মী ওসমান গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে কক্সবাজারের আকাশ। উপকূলে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। তবে এখনো সাগরের ঢেউয়ের রূপ স্বাভাবিকই রয়েছে। তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বরাবরের মতো এবারো সকাল থেকে সৈকতের পরিস্থিতি দেখতে দর্শনার্থীর ভিড় লেগে আছে। তবে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরে নামাদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। সমুদ্র হঠাৎ উত্তাল হতে পারে, বিধায় সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।