
গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত শাহাদাত হোসেন মনুর বিরুদ্ধে টমটম চালককে অপহরণ মারধর সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে জানিয়েছেন অটো রিক্সা চালকেরা। এই নিয়ে রিক্সা চালকদের সংগঠন বিজয় রিক্সা চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড(নিবন্ধন নং-২২৫১) নেতৃবৃন্দ মনুকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, মূলত অভিযোগকারী ফারুকও বিজয় রিক্সা চালক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সমিতির রিক্সাগুলোর ভাড়া তুলতো। কিন্তু বাৎসরিক হিসাবে দেখা যায় ফারুক সমিতির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মাসাৎ করে। ১লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ৫০ হাজার ফেরত দিয়েছে তার উপস্থিতিতে প্রথম স্ত্রী এবং তার বড় ছেলে। বাকি টাকা ফেরত দিতে বললে এই ষড়যন্ত্র শুরু করে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, শাহাদাত হোসেন মুন্না কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নেই। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। টমটম চালককে অপহরণও করেনি তিনি। একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি একটি মীমাংসিত বিষয়। এই ঘটনাটি ১২ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ চৌধুরী ও ২ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু ছৈয়দ হিরু বিষয়টি সমাধান দিয়েছেন। কিন্তু তা অমান্য করে ওই পক্ষটি মনুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিক্সা ভাড়া দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। এক সময় তাদের নিজ মালিকানাধীন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে নানাভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো। এরপর থেকে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পাশাপাশি রিক্সা চালকদের সংগঠিত করে তাদের অধিকার আদায়ের কাজ করে যাচ্ছেন।
বিজয় রিক্সা চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নেতৃবৃন্দ বলেন, শাহাদাত হোসেন মুন্নার বিরুদ্ধে তার পুরনো শত্রুদের সঙ্গে আাতাত করে ফারুক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবারও তাকে নানাভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে। ফারুক কক্সবাজার সদর থানায় মনু সহ কয়েকজন রিকশা শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সদর থানার এএস জাহেদ সমাধান করে দিলে তাও অমান্য করে ফারুক। আমরা তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাশাপাশি মনুর বিরুদ্ধে এধরণের ষড়যন্ত্র যদি পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে অটোরিকশা শ্রমিকরা তার দাঁত ভাঙা জবাব দিতে বাধ্য হবে।
প্রতিবাদকারী
মোঃ কামাল-সভাপতি, আবু তাহের-সভাপতি, মোঃ ফারুক-সদস্য, জাফর আলম- সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম-প্রচার সম্পাদক, সিনিয়র সদস্য আজিজ ও রমজান, ক্রীড়া সম্পাদক হামিদ ও আনোয়ারসহ সর্বস্তরের অটোরিকশা শ্রমিকবৃন্দ।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।