১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

ক্ষুদ্র ঋণের জালে জড়িয়ে অনেকে বিপাকে!

rin
দরিদ্র মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে এনজিওরা।  দিন দিন ক্ষুদ্র ঋণের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে গ্রামের সহজ সরল লোকজন। ক্ষুদ্র ঋণদানকারী বিভিন্ন এনজিও থেকে তারা অহরহ ঋণ নিচ্ছে। একবার যে দরিদ্র লোকটি এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছে সে আর বছরের পর বছর পার হলেও ঐ ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। এলাকার সহজ সরল লোকজন এক এনজিওর ঋণ পরিশোধের জন্য অন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এভাবে একজন লোক কয়েকটি এনজিওর ঋণের জালে জাড়িয়ে ফতুর বনে যাচ্ছে। অনেকেই ঠিক মত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে এলাকা ছেড়েছেন। কেউ কেউ আবার ভিটি বাড়ি বন্ধক দিয়ে ঋণ শোধ করছেন। জানা গেছে, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় একাধিক এনজিও দরিদ্রদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছেন। অভিযোগ রয়েছে- কাগজে কলমে এসব এনজিওরা ঋণের সুদের হার কম দেখানো হলেও বাস্তবে এরা দ্বিগুণ সুদ নিচ্ছে। আবার কোন কোন এনজিও সুদের হার তিনগুণ ছাড়িয়ে গেছে। ঋণ গ্রহণকারী দরিদ্র মানুষের পক্ষে যা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষেরা এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিচ্ছে এবং বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। একজন লোক একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছে। এলাকায় ঋণ নেওয়া হতদরিদ্র লোকজনের মতে, ঋণ নেওয়ার পর সুদ নিয়ে তারা মহাচিন্তায় ভুগছে। এনজিওরা টাকা দেয় ঠিকই কিন্তু সে টাকা খাটাবার সুযোগ দেয় না। তারা যে সপ্তাহে ঋণ দেয় তার পরবর্তী সপ্তাহ থেকে কিস্তি পরিশোধে চাপ সৃষ্টি করে। জনৈক এক নারী ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গ্রাম ছেড়ে এখন শহরে গিয়ে গৃহ পরিচারিকার কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার আরো অনেকে এনজিওর ঋণের কারনে সর্বস্বান্ত হয়ে এখন ভিক্ষা করার উপক্রম শুরু হয়েছে। এসব ঋণ গ্রহীতা হতভাগ্য মানুষ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে, নানা গ্রামাঞ্চলে ঋণের কিস্তি দেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের দরিদ্র পরিবার গুলোতে চলছে দ্বন্দ্ব-কলহ আর নানা ঝামেলা। উল্লেখ্য যে, বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী খুটাখালী, রশিদ নগরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হরেক রকমের এনজিও সংস্থা কিস্তির নামে দ্বিগুন সুদ আদায়ে মেতে উঠছে। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বিশাল এলাকার অসহায় লোকজন।

ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।