২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৪ পৌষ, ১৪৩২ | ৮ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন

কক্সবাজারে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মুন্নাসহ ২৩ জন আটক, বিকেলে এসপির সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কথিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মুন্নাসহ ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবী তারা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এরমধ্যে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মুন্নার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে বলেও জানানো হয়। মুন্না শহরের বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

এই বিষয়ে বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্নার বাড়ি কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকায়। এক সময়ের শহরের আতঙ্ক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতেন মুন্না। তারা শহরের পাহাড়তলী, এবিসিঘোনা, বাঁচামিয়ারঘোনা, সাহিত্যিকাপল্লী, রুমালিয়ারছড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর শহরের পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সমিতি বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে নুর জোহারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নুর জোহারের মৃত্যুর পর রুমালিয়ারছড়ার আরেক সন্ত্রাসী রশিদ ড্রাইভারের ছেলে আবছারের সাথে নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন মুন্না। কিন্তু সেই বাহিনীও টিকেনি। নেতৃত্বের দ্বন্দে¦ ২০২১ সালের শুরুর দিকে আবছারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন বাহিনী গড়ে তুলে মুন্না। তবে গত মাস দুয়েক আগে সন্ত্রাসী আবছারকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে আবছার কারাগারে।

এদিকে আবছারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর নতুন বাহিনী গড়ে তুলতে ছালেহ আহমেদ, হাবিবুল্লাহ, খাইরুল আমিনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে সঙ্গ দেয়। তাদের সহযোগিতায় প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে মুন্না। এরমধ্যে দুই মাস আগে খাইরুল আমিন পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধের জড়িত এই বাহিনী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।