কক্সবাজারের সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রনেতা সফিউল আলম আর নেই। তিনি রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দুরারোগ্য লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন কন্যা, স্ত্রী, পিতা, মা, ভাই সহ অনেক স্বজন রেখে গেছেন।
আজ রবিবার আছরের নামাজের পর পেকুয়ার মগনামা মহুরিপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সফিউল আলম ১৯৭৭ সালে ২৮ নভেম্বর বর্তমান পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওসমান গণি, মাতা সাজেদা বেগম।
সফিউল আলম ২০১১ সালে গণমাধ্যমে কাজ শুরু করেন। কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় কাজ শুরু করা এই সাংবাদিক পত্রিকাটি সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। তিনি জাতীয় দৈনিক দি বাংলাদেশ টুডে এবং দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় না ফেরার দেশে যাত্রা দিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বাংলাদেশ সর্ববৃহৎ সংগঠণ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ইউনিট সংগঠন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবং কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সদস্য।
তিনি ছাত্রজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনীতির সাথে সংযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, কক্সবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মগনামা স্কুল ছাত্রলীগের প্রথম সাংগঠনিক কমিটির সহ সভাপতি, মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পারিবারিকভাবে সফিউল আলম এর সকল নিকট স্বজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।