২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

অসহায় মানুষের পাশে ফাতেমা এন্ড কোম্পানি ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে ফাতেমা এন্ড কোম্পানি ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টায় কক্সবাজার শহরের পূর্বপাহাড়তলী ইছুলের ঘোনা মাঠে প্রায় ২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল- চাল-১৫ কেজি, আলু-৫ কেজি, পিঁয়াজ-৩ কেজি, ছোলা-৩ কেজি, ডাল-৩ কেজি, তেল-২ লিটার। স্থানীয় লোকজন জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এসময়ে কবির আহমদ কোম্পানী এবং তার দুই ছেলে ওসমান গণি ও ওসমান সরওয়ার টিপু তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যেকোন সংকটে কবির কোম্পানির পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহায়তা পেয়েছে পুরো এলাকাবাসী। এবার রমজানেও ত্রাণ পেয়ে তারা অনেক খুশি।
পাহাড়তলী এলাকার স্বামী হারা হালিমা বেগম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। রমজানে সাহরী-ইফতারের বাজার কেনার মতো  সামর্থ্য নেই আমার। এ অবস্থায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন কবির কোম্পানির পরিবার। তাদের দেয়া ত্রাণগুলো পেয়ে অনেক খুশি হলাম। বাবা হারা আমার সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন অন্তত ভালোভাবে চলতে পারবো।’
এবিসি ঘোনা থেকে ত্রাণ নিতে আসা দিন মজুর আবুল মনজুর বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের পেটের খবর নেয় কবির কোম্পানির ছেলে ওসমান সরওয়ার টিপু ও ওসমান গণি। করোনার সময়েও আমাদের ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছে তারা। তাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারবো না।’
পশ্চিম পাহাড়তলীর কামাল হোসেন বলেন, ‘১ হাজার টাকার নোট নিয়ে বাজার করতে গেলে ৩/৪টি পণ্য কিনলে আর অবশিষ্ট টাকা থাকে না। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে ওসমান সরওয়ার টিপু ও তার ভাই ওসমান গণি আমাদের মতো দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াবের ভাগিদার হয়েছে। আল্লাহ যেন তাদের আয়-রোজগার ও সম্পদে বরকত দান করেন সেজন্য দোয়া করি আমরা।’
ত্রাণ পেয়ে হাজেরা খাতুন বলেন, ‘চাল, ডাল, আলু তেল, ছোলা, পিঁয়াজ সবকিছু পেয়েছি। অনেকদিন পর্যন্ত খেতে পারবো। আল্লাহ পাক যেন কবির কোম্পানির পরিবারকে এভাবে প্রতিবছর আমাদের মতো গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দান করেন। তারা সবসময় আমাদের পাশে দাঁড়ায়।’
কবির কোম্পানির ছেলে ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, ‘সিয়াম সাধনার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী থেকে আমার এলাকার গরীব অসহায় মানুষগুলো যেন বঞ্চিত না হয় তাই আমাদের ভাবনায় ছিল রমজানে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা প্রতি বছর রমজান, ঈদ এবং সংকটে প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য বিতরণ করে থাকি। করোনা মহামারির সময়েও আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক ত্রাণ বিতরণ করেছি।’
বড় ছেলে ওসমান গণি বলেন, ‘প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের মাঝে আমাদের আজকের এই ত্রাণ সহায়তা। ভবিষ্যতেও আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা যেন সবসময় গরীব অসহায় মানুষের দাঁড়াতে পারি, সেজন্য সকলের কাছে আমার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করছি।’
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদয়ন যুব কল্যাণ পরিষদ সহযোগিতায় করেন। এসময় কবির কোম্পানী ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।