২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৭ পৌষ, ১৪৩২ | ১ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

১৮ লাখ টাকায় বিদেশে ভর্তির নামে প্রতারণা, ২ প্রতারক গ্রেফতার

ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা শাহীন আরা আজম। মেয়ে অতন্দ্রীলা আফ্রদিতি (১৮) বাংলাদেশের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে এ-লেভেল পাশ করেছে। বাবার ইচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা ও ওখানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে মেয়েকে পড়াবেন।

যে চাওয়া সে কাজ। গত ২৪ আগস্ট আজম তার মেয়েকে নিয়ে যান আমেরিকান দূতাবাসে। একপর্যায়ে সেখানে পরিচয় হয় ‘মন্ত্রীর পিএস নাজিম ও জাহিদুল’ নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে। আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা ও সেখানকার একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তির সব ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে তারা।

জাহিদুল ইসলাম নিজেকে মন্ত্রীর পিএস পরিচয় দেন। আমেরিকান ভিসা ও ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসে আজম ও জাহিদুলদের মধ্যে ১৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। টাকা হাতে পাওয়ার পর লাপাত্তা দুজনেই। যোগযোগের নম্বরও বন্ধ রাখে তারা।

শাহীন আরা আজম বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কোনোভাবে ওই ব্যক্তির হদিস না মেলায় অভিযোগ যায় ধানমন্ডি থানায়। এরপর পিবিআই ঢাকা মেট্রো ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পিবিআই জানতে পারে তারা কেউই কোনো মন্ত্রীর পিএস কিংবা সরকারি কর্মকর্তার বিশেষ সহকারী নয়। প্রতারণক চক্রের সদস্য তারা।

পরে অভিনব কায়দায় স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের মো. নাজিম ওরফে নাসির (৩৪) ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবুল (২৮) নামে এ দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত সোমবার নাসিরকে আটক করার পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই ঢাকা মেট্রো বুধবার ভোরে জাহিদুলকে ধানমন্ডির ল্যাব এইডের সামনে থেকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে মোট আত্মসাৎকৃত ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা  জানান, চক্রটি ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কখনো নিজেদের মন্ত্রীর পিএস, কখনো এপিএসসহ বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের এপিএস পরিচয় দিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিসহ চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সহজ-সরল অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

মিনা মাহমুদা জানান, শুধু ধানমন্ডির শাহীন আরা আজম নয়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নাম করে একাধিক অভিভাবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা।

প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য নাজিম জিজ্ঞসাবাদে স্বীকার করে যে, সে এবং তার অন্যান্য সহযোগী মিলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষকে প্রতারিত করেছে।

এছাড়াও এই প্রতারকচক্রটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আটক দুজনের বিরুদ্ধেই ধানমন্ডি মডেল থানার ধারা-৪২০ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা দায়ের (মামলা নং-৭) করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।