৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

সাক্ষ্য দিলেন খাদিজা : যুক্তিতর্ক আগামী ১ মার্চ

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ আগামী ১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে সিলেটে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে ভিকটিম খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণের পর যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১ মার্চ ধার্য করা হয়।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে মানবকণ্ঠকে জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জন আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার ভিকটিমের খাদিজার সাক্ষ্য নেয়ার পর আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী দেবে না বলে সিদ্ধান্ত জানালে বিচারক যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে যান খাদিজা। সকাল ১১টায় বিচারকের সামনে বদরুলকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি। ঘটনার ৩ মাস ২২ দিন পর সুস্থ হয়ে আদালতে হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক (বহিষ্কৃত) বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।
ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হওয়া খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর সাভারে সিআরপিতে স্থানান্তর করা হয় খাদিজাকে। প্রায় তিন মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার সুস্থ হয়ে সিলেটে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন খাদিজা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।