২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৩০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সর্দার শরিফের শেখানো নাম না বলায় নির্যাতন করেছে: সংবাদ সম্মেলনে দু’শ্রমিক

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে শেখানো নাম আদায়ের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিনি চাঁদা দাবী করে ব্যর্থ হয়ে এ অনৈতিক কাজটি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন গত ১২ জানুয়ারী শহরের লাইট হাউজ থেকে পাহাড় কাটার মিথ্যা অভিযোগে আটক হওয়া সোনা মিয়া ও ছব্বির নামে দুই শ্রমিক। কারাগার থেকে বেরিয়ে ১৮ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা এমন অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সোনা মিয়া বলেন,‘আমার বাড়ির পাশে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বাসার মেঝেতে দেয়ার জন্য সিমেন্টের বস্তায় করে দুই তিন বস্তা মাটির জন্য আমি ও প্রতিবেশি ছব্বির সেখানে যাই। ওই সময় তিন জন লোক গিয়ে আমাদের ধরে বাহারছড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে একটি অন্ধকার কক্ষে ২/৩ ঘন্টা আটকে রেখে আমাদের মারধর করে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। পরে আমাদের দু’জনকে ছেড়ে দিতে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন তাদেরই একজন। কিন্তু আমরা গরীব লোক টাকা নেই জানানোর পর তারা চলে যান। আধা ঘন্টা পর ফিরে এসে তারা দুই জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তারা পাহাড় কাটছে বলে স্বীকারোক্তি দিলে আমাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

মো. ছব্বির বলেন, ‘আমরা অসহায় সাধারণ মানুষ। টাকার বিনিময়ে দৈনিক কাজ করি। তবে জীবনে কখনো আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে অনৈতিক কাজ করিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোন রকম জীবন-যাপন করছি। এরপরও নিজের ঘরের কাজ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইাসলাম তার শেখানো কথা না বলায় পাহাড় কাটার মিথ্যা অভিযোগ এনে আইনের কাছে সোপর্দ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অভিযানকালে পুলিশের কোন সদস্য না থাকলেও শরিফুল ইসলাম ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে পুলিশ ছিল বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র প্রমান করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এ ধরণের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের বিচার চান প্রশাসনের কাছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।